আর কিছুদিনের মধ্যে শুরু হতে চলেছে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান, দুর্গাপূজা। রাজ্যজুড়ে এখন সাজো সাজো রব। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবে তাদের মহার্ঘ্য ভাতা বা DA বৃদ্ধি পাবে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী এই পুজোর আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এমন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যা দেখে মুখে হাসি ফুটেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এই নতুন সুবিধা কর্মচারীদের সরাসরি আর্থিকভাবে সহায়তা না করলেও, এর সুবিধা পেতে আগ্রহী রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন সুবিধা
আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেল সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এই নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য স্কিম বা West Bengal Health Scheme এর আওতায় সুবিধার পরিধি আরও বাড়বে। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় থাকবেন। তবে, কর্মীর মৃত্যুর পর এই সুবিধা কীভাবে প্রযোজ্য হবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে এই সমস্ত বিভ্রান্তির নিরসন করা হয়েছে।
কারা থাকবেন স্বাস্থ্য স্কিমের আওতায়?
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মারা যান, তবে তার পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য স্কিমের সুবিধা পাবেন। তবে এর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। মূলত, পরিবারটি যদি ফ্যামিলি পেনশনের আওতায় থাকে, তবেই তারা এই স্বাস্থ্য স্কিমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অন্যথায়, পরিবারের সদস্যরা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন না। এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করা হয়েছে। যদি কোনও ফ্যামিলি পেনশনার মারা যান, তবে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আর এই স্কিমের আওতায় থাকবেন না। তবে, কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মচারী বা আধিকারিকের মৃত্যু হলে এবং ‘কমপ্যাশনেট নিয়োগ’ অনুযায়ী নতুন কেউ নিযুক্ত হলে, সেই নবনিযুক্ত কর্মী ও তার পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য স্কিমের সুবিধা পাবেন।
নতুন বিজ্ঞপ্তির সারসংক্ষেপ
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আগে এই কোনো সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে আর হেলথ স্কিমের সুবিধা মিলতো না। কিন্তু নতুন নিয়মে কর্মচারীর অবর্তমানে যিনি পেনশন পাবেন, তিনি এই হেলথ স্কীমের সুবিধা পাবেন। এরপর তার মৃত্যু হলে এই স্কীম শেষ হয়ে যাবে। এই নতুন নির্দেশিকা সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি তাদের পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি হবে, যা রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।