ভারতীয় জীবন বীমা কর্পোরেশন (LIC) দেশের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জন্য নতুন নতুন বীমা নীতি চালু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মহিলাদের বীমা কেনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কথা মাথায় রেখে এলআইসি তাদের জন্য একটি বিশেষ বীমা পলিসি চালু করেছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন (LIC) সম্প্রতি মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ জীবন বীমা পরিকল্পনা শুরু করেছে, যা হল “আধার শিলা যোজনা”। এই পরিকল্পনা মূলত নন-লিঙ্কড এবং ব্যক্তিগত জীবন বীমার অন্তর্ভুক্ত। এখানে পলিসির মেয়াদ শেষ হলে একটি নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করা হয় এবং পলিসিধারীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আধার শিলা যোজনার বৈশিষ্ট্য
এলআইসি আধার শিলা যোজনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এটি শুধুমাত্র আধার কার্ডধারী মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য। এখানে আবেদনকারীর বয়সের সীমা ৮ বছর থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ, ৮ বছরের মেয়ে পর্যন্ত এই পলিসি নেওয়া যেতে পারে, যা অনেক পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান করে। মনে করুন, যদি একটি ২১ বছরের মেয়ে ২০ বছরের জন্য এই জীবন বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, তাহলে তাকে প্রতি বছর ১৮,৯৭৬ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। এভাবে ২০ বছরের মধ্যে মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমা হবে এবং তিনি ম্যাচুরিটির সময় প্রায় ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা পাবেন। এই পরিমাণে ৫ লক্ষ টাকা মৌলিক বিমা এবং ১,৬২,৫০০ টাকা আনুগত্য যোগ হবে।
১১০ শতাংশ নিশ্চিত পরিমাণ
এলআইসি আধার শিলা যোজনায় পলিসিধারীর মৃত্যু হলে, তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমাকৃত অর্থ প্রদান করা হয়। এই অর্থ সাধারণত বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৭ গুণ অথবা বিমাকৃত অর্থের ১১০ শতাংশের সমান হতে পারে। এর ফলে পরিবারটি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী থাকতে পারে। পলিসির ম্যাচুরিটি হলে, পলিসিধারক চাইলে প্রতি বছর কিস্তিতে ম্যাচুরিটির পরিমাণ পেতে পারেন। এটি পরিবারকে স্থায়ী আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা তাদের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যদিও এই প্রিমিয়াম এবং ম্যাচুরিটি সম্পর্কিত তথ্যগুলো প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে এর হিসাব ভিন্ন হতে পারে। তাই আগ্রহী মহিলাদের জন্য LIC অফিসে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।