ভারত সরকার দেশের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল রেশন কার্ড সিস্টেম। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে দেশের দরিদ্র পরিবারগুলিকে স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই রেশন কার্ড হল একটি সরকারি নথি যা কোন ব্যক্তি বা পরিবারকে সরকারিভাবে সরবরাহ করা খাদ্যশস্যের জন্য যোগ্য বলে প্রমাণ করে। এই কার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণে চাল, গম ইত্যাদি স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে ক্রয় করা যায়। এই রেশন কার্ড পেতে বেশ কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। তবে অনেকেই আজকাল সেই নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে রেশন সুবিধা উপভোগ করছেন।
রেশন সুবিধাভোগীদের e-KYC হবে
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি রেশন ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ উঠেছে। সমীক্ষা ও প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহু মানুষ প্রতারণার মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশন সুবিধা নিচ্ছেন, যা সরকারের উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই ধরনের অসাধু কার্যকলাপ ঠেকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রেশন কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে সুবিধাভোগী ব্যক্তির পরিচয় সঠিকভাবে যাচাই করা যায়। বিশেষভাবে, ই-কেওয়াইসি (e-KYC) প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে রেশন কার্ডধারীদের তথ্য যাচাই করা হবে।
নিয়ম না মানলে জেলও হতে পারে
যদি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে রেশন সুবিধা ভোগ করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ এবং রেশন কার্ড বাতিলের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, রেশন সুবিধা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অবশ্যই নির্ধারিত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে। যদি কেউ এই নিয়ম অমান্য করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা যেমন জরিমানা এবং জেলও হতে পারে। এখন থেকে রেশন পরিষেবা ব্যবহারের জন্য আবেদনকারীদের নির্ধারিত নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, অন্যথায় কঠোর শাস্তি পেতে হতে পারে।