ভারতীয় রেল দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য অন্যতম সেরা পরিবহন ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। যাত্রীদের আরামের জন্য বিশেষ করে এসি কোচে বিছানার চাদর, বালিশ এবং কম্বল সরবরাহ করা হয়। তবে, অনেক যাত্রী রেলের এই সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার করেন এবং এই সরবরাহকৃত সামগ্রী নিজেদের সাথে নিয়ে যান।
ট্রেন থেকে চুরি হওয়া সামগ্রীর পরিসংখ্যান
প্রতিবছর ট্রেন থেকে চাদর, বালিশ ও কম্বল চুরির বহু ঘটনা সামনে আসে। ২০১৭-১৮ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, পশ্চিম রেলওয়ে থেকে প্রায় ১.৯৫ লক্ষ তোয়ালে, ৮১,৭৩৬টি বিছানার চাদর, ৫০৩৮টি বালিশ, ৫৫,৫৭৩টি বালিশের কভার এবং ৭,০৪৩টি কম্বল চুরি হয়েছে। এই চুরির খেসারত অনেক সময় রেল কর্মীদের বেতন কেটে মেটানো হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকীভাবে ধরা পড়ে চোর?
যাত্রা শেষে রেলওয়ে কর্মীদের কাছে বিছানার সামগ্রী হস্তান্তর করা বাধ্যতামূলক। ট্রেনের সিসিটিভি ক্যামেরা ও অন্যান্য নজরদারির মাধ্যমে যাত্রীদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদি কেউ ট্রেন থেকে এই জিনিসপত্র চুরি করে, তবে তিনি সহজেই ধরা পড়তে পারেন।
চুরি করলে কী শাস্তি হতে পারে?
ভারতীয় রেলওয়ের ১৯৬৬ সালের রেলওয়ে সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, ট্রেনের কোনো সামগ্রী চুরি করলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে—
– প্রথমবার ধরা পড়লে এক বছরের কারাদণ্ড বা ১,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
– গুরুতর অপরাধ হলে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং বড় অঙ্কের জরিমানার বিধান রয়েছে।
সতর্কতা ও পরামর্শ
রেলের সম্পত্তি চুরি করলে তা শুধুমাত্র বেআইনি নয়, বরং এতে রেলের আর্থিক ক্ষতিও হয়। যাত্রা শেষে বিছানার চাদর, কম্বল ও বালিশ রেল কর্মীদের কাছে ফেরত দেওয়া প্রত্যেক যাত্রীর দায়িত্ব। অন্যথায় কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে।