ভারতের উচ্চ-গতির রেল প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিহারে বুলেট ট্রেন চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিহারের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বুলেট ট্রেন স্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের রুট ও স্টেশন
প্রস্তাবিত বুলেট ট্রেন রুটটি বারাণসী থেকে হাওড়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, যার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৬০ কিলোমিটার। এই রুটে বিহারের পাঁচটি শহর—বক্সার, আড়া, জেহানাবাদ, পাটনা এবং গয়া—তথ্যসূত্রে স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ।
নির্মাণের ধাপ ও সময়সীমা
প্রকল্পটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে বক্সার, পাটনা এবং গয়ায় স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হবে, এবং পরবর্তী ধাপে আড়া এবং জেহানাবাদে স্টেশন নির্মাণ করা হবে । এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি।
প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
গতি: বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩৫০ কিমি/ঘণ্টা, এবং কার্যকরী গতি হবে ৩২০ কিমি/ঘণ্টা।
ট্র্যাক গেজ: স্ট্যান্ডার্ড গেজ – ১৪৩৫ মিমি।
ট্রেন ধারণক্ষমতা: ৭৫০ জন যাত্রী।
ট্র্যাক বৈশিষ্ট্য: বিহারে প্রায় ২৬০ কিমি ট্র্যাক এলিভেটেড হবে, যা বিদ্যমান অবকাঠামোর উপর প্রভাব কমাবে ।
সম্ভাব্য প্রভাব
এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মাধ্যমে বিহারের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আসবে। উচ্চ-গতির রেল যোগাযোগের ফলে যাত্রার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (FAQ):
প্রশ্ন ১: বুলেট ট্রেন প্রকল্পের রুট কী হবে?
উত্তর: বারাণসী থেকে হাওড়া পর্যন্ত, যার মধ্যে বিহারের পাঁচটি শহর—বক্সার, আড়া, জেহানাবাদ, পাটনা এবং গয়া—অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রশ্ন ২: এই প্রকল্পের নির্মাণ কবে শুরু হবে?
উত্তর: নির্মাণের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
প্রশ্ন ৩: বুলেট ট্রেনের গতি কত হবে?
উত্তর: সর্বোচ্চ গতি ৩৫০ কিমি/ঘণ্টা এবং কার্যকরী গতি ৩২০ কিমি/ঘণ্টা।
প্রশ্ন ৪: এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিহারে কী ধরনের উন্নয়ন হবে?
উত্তর: উচ্চ-গতির রেল যোগাযোগের ফলে যাত্রার সময় কমবে, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
প্রশ্ন ৫: প্রকল্পটি কত কিলোমিটার এলিভেটেড ট্র্যাক অন্তর্ভুক্ত করবে?
উত্তর: বিহারে প্রায় ২৬০ কিমি এলিভেটেড ট্র্যাক অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।














