শনিবার ভোরে ইরাকের ইরানপন্থী যোদ্ধাদের উপর একটি নতুন করে বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। এরফলে ড্রোন হামলায় শীর্ষ ইরানি জেনারেল নিহত হওয়ার একদিন পর ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
শুক্রবার বাগদাদে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরান কুডস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকি আধা সামরিক বাহিনীর শীর্ষনেতা আবু মাহদী আল-মুহান্দিসের জন্য শোক মিছিলের কয়েক ঘন্টা আগে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, তিনি যুদ্ধ চান না। এরপরও ওই অঞ্চলে আমেরিকার অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোয় নিজের জন্মভূমিতেই আশঙ্কায় রয়েছেন ইরানিরা।
আরও পড়ুন : আমেরিকার বিরুদ্ধে বদলার হুমকি, বাঁধতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ
গতকালের ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে, নতুন ড্রোন হানায় হাশেদ আল-শাবির একটি কনভয়কে টার্গেট করা হয়। যে ইরাকি আধা-সামরিক বাহিনীর ইরানের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনায় কারা দায়ী তা জানা না গেলেও ইরাকি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সংস্থা জানিয়েছে যে, এটি মার্কিন বিমান হামলা। স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে যে, বাগদাদের উত্তরে ঘটা এই বোমা হামলায় অনেকেই নিহত ও আহত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাথমিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।