শ্রেয়া চ্যাটার্জী : কয়দিন ধরে বিধ্বংসী আগুনে ছারখার হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চল। তবে আশার খবর সেখানে বৃষ্টি হয়েছে। তবে নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই, তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু আগুন আবারো ফিরে আসতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পূর্বতীর থেকে মেলবোর্ন পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে সে বৃষ্টির রঙ বাদামী রঙের। তবে বিশেষজ্ঞরা ভয় পাচ্ছেন ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের বিচ্ছিন্ন আগুন একত্রে মিশে গিয়ে এক বিশাল আকার দাবানল তৈরি করতে পারে।
ইতিমধ্যেই যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। প্রথমে আমাজন, তারপরে অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চল পৃথিবীর করে শেষ হতে চলেছে। পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে বন্যপ্রাণী এবং বন্যজীবন। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ক্যাঙ্গারুর দল দৌড়ে পালাচ্ছে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। একটু শান্তির আশায়। মানুষের এবার বোধহয় একটু বোঝার সময় এসেছে এখনো যদি মানুষ উদাসীন হয় তাহলে নিজের বিপদকে সে নিজেই ডেকে আনবে।
আরও পড়ুন : অস্ট্রেলিয়া দাবানলে পুড়ে ছারখার, মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর সামনে
গত কয়েক বছর ধরেই যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য গোটা পৃথিবী চিন্তিত এবং তার ফলাফল আমরা সমস্ত জায়গাতেই দেখতে পাচ্ছি। ঠিক সেই সময় পৃথিবীর এই দুটি বৃহৎ জায়গায় দাবানল, যা সত্যিই এই চিন্তাকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। পৃথিবীর অস্তিত্ব আর কতদিন, এই প্রশ্ন উঠছে! কিন্তু শুধু প্রশ্নই উঠছে কোন সমাধান বের করা যাচ্ছেনা। এত অক্সিজেন এর ঘাটতি মেটানো যাবে কি করে?
বৃষ্টি হলেও যতটা বৃষ্টির প্রয়োজন ততটা বৃষ্টি হয়নি তবে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বায়ু দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যে দ্বীপটি হয়েছে সেটি হল ক্যাঙ্গারু দ্বীপ। সেখানে সেনা এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় বেঁচে গেছে অনেক প্রাণ। কিন্তু মানুষের পক্ষে বাঁচানো আর কতটা সম্ভব? প্রকৃতি দেবী নিজেই এখন চাইছে মানুষকে শাস্তি দিতে, একসময় সে হয়েছিল অত্যাচারিত। আজ বুঝি সে তার প্রতিশোধ নিচ্ছে।