গত শুক্রবার থেকে শেনঝানের একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষিকা প্রীতি মাহেশ্বরী চিনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে, জানিয়েছেন তার স্বামী অংশুমান খোয়াল। তবে তার সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ডাক্তার।
চীনে এই নতুন মরণ ভাইরাসে আতঙ্কিত গোটা দেশ। রোগনির্ণয় করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রতিবারই ডায়াগনোসিস ‘নিউমোনিয়া’। করোনাভাইরাসের নতুন সংস্করণ এর কারণ। যার উৎস চিনের ইউহান শহর। এই ঘটনায় চিনের পাশাপাশি আতঙ্কে আছে ভারতও কারণ চীনের ইউহান শহরে বহু ভারতীয় ছাত্র আছে যারা এই সময়ে চিনা নববর্ষের কারণে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরতে পারে আর তাদের থেকে যদি কোনওভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন : পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বাড়বে, ভেঙতে চলেছে ১৫০ বছরের রেকর্ড
২০০২-২০০৩ সালে সার্সের সংক্রমণে দেশজুড়ে ৮০০ জনের মৃত্যু পেছনেও ছিল করোনাভাইরাস। আর সেই ভাইরাসের নতুন সংস্করণের কারণে এখনো পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে চিনে। আরও চারজনের নিউমোনিয়া হয়েছে যার পেছনেও রয়েছে এই ভাইরাসটি। সাংহাই ও শেনঝোনে সংক্রমনের খবর পাওয়া যায় তিনজনের। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই নতুন ভাইরাসটি সার্সের মতো বিপদজনক নয়।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তাই বিভিন্ন সর্তকতা নেওয়া হচ্ছে। চিন থেকে যারা আসছেন তাদের জন্য বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করছে মুম্বাই বিমানবন্দর। যদি কারো মধ্যে রোগের উপসর্গ দেখা যায় তাকে আইসোলেশন হাসপাতালে পাঠানো হবে।