মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী গঙ্গারামপুর, শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে হেনস্থায় বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা
ব্যক্তিগত জমিতে রাস্তা তৈরী নিয়ে বচসার সূত্রপাত। শিক্ষিকার জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। ব্যক্তিগত জমিতে রাস্তা তৈরীর কাজে বাধা দেন গঙ্গারামপুর এলাকার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক স্থানীয় বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষিকা।
কিন্তু এলাকার উপপ্রধান ক্ষমতার অপব্যবহার করে চড়াও হন ওই শিক্ষিকার উপর। বাধা দিতে এলে শিক্ষিকার বোনের উপরও অত্যাচার চালায় তৃণমূলের উপপ্রধান অমল সরকার ও তার অনুগামীরা। এমনই এক ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, স্মৃতিকণা দাস নামের ওই শিক্ষিকার পায়ে দড়ি বেঁধে তাকে রাস্তায় টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে উপপ্রধানের দলবল। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এমন দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি দলীয় উপপ্রধানকে বহিষ্কার করে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ জানান, ‘অভিযোগ পাওয়া মাত্র অমল সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় স্তরে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।’ স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন বিজেপি সমর্থক হওয়ার কারণেই হেনস্থা করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে।
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। স্বয়ং প্রধান বিচারপতি। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তদন্ত রিপোর্ট খুব শীঘ্রই জমা করতে বলেছেন।