গত কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর থানা এলাকার নন্দনপুর থেকে হাপুনিয়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরি কাজ চলছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সেই এলাকার অর্থাৎ নন্দনপুরের বাসিন্দা স্মৃতিকণা দাস নামে এক মহিলার বাড়ির জমির উপর দিয়ে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যের রাস্তার কাজ চলে। তিনি তা বাঁধা দিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তা বিশেষ কর্নপাত করেননি।
এই ঘটনার পর স্মৃতিকণা দাস এবং তার দিদি ধর্নায় বসেন। তারপর পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও তৃনমুলের আধিকারিকরা তাকে মারধর করে এবং পায়ে দড়ি বেধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় ঘরে। এরপর দুই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি সর্বসমক্ষে আসতেই শুরু হয় নিন্দা।
আরও পড়ুন : পিছু হাঁটল কেন্দ্র, দেশজুড়ে চালু হচ্ছে না NRC
নন্দনপুরের এই ঘটনার জেরে পর্যাপ্ত তদন্ত ও সুবিচারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। গঙ্গারামপুরে ওই দুই মহিলা বিজেপি কর্মীর সঙ্গে যে নৃশংস আচরণ করা হয়েছে, তার ভিডিও এবং ছবি-সহ রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানান তারা।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গঙ্গারামপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনও সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। রাষ্ট্রপতিকে সব জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আইন ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে সেই বিষয়েও জানানো হয়েছে।”
এরপর ওই দুই নিগৃহীতা মহিলা থানায় পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও বাকিদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এখনও অধরা ঘটনার মূল অভিযুক্ত অমল সরকার। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।