কলকাতানিউজরাজ্য

করোনা নিয়ন্ত্রণে ‘মহামারী আইন’ চালু বাংলায়

Advertisement

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে নানা সতর্কতা জারি করা হচ্ছে ভারতে। ভারতে ১৩ টি রাজ্য সরকারের ন্যায় আজ নবান্নে জরুরী বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যেও মহামারী আইন বলবৎ করেছেন৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশাবলী কার্যকর করতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রয়োগ করা হবে ১৮৯৭ সালের মহামারী সম্পর্কিত আইনের ২ নম্বর ধারা।যে ধারার প্রয়োগে রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা বিধি তৈরীর অধিকার পাবে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। যে বিধিনিষেধ অমান্য করলে ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী যে ব্যক্তি এমন করবে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড অথবা এক হাজার টাকার জরিমানা বা উভয় শাস্তিই দেওয়া হবে।

এই আইন লাগু করার কথা ভাবা না হলেও আইসোলেশনে থাকা কিছু রোগী চিকিৎসার প্রতি অনীহা, জেলা শাসকদের বিরক্ত করা প্রভৃতি কারনে এই আইন লাগু করতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৮৯০ এ
এই আইন প্রবর্তন করেছিলেন তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকার, সেইসময় পূর্বতন বোম্বে প্রেসিডেন্সিতে বিউবোনিক প্লেগের মহামারী আটকানোর জন্য এই আইন প্রবর্তন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গেল রাজ্যের পুরভোট

সোমবার নবান্নে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান করোনা মোকাবিলায় কাজ করা প্রায় ১০ লক্ষ কর্মীদের ৫ লক্ষ টাকার বিমার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ২ লক্ষ পিপিই দেওয়া হবে। করোনার ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গড়া হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, গুজবে কান দিতে নিষেধ করেন এবং অযথা আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দেন । ২ লক্ষ এন-৯৫ মাস্কও কেনা হবে বলে জানান তিনি।
সর্তকতা অবলম্বনে রাজ্যের স্কুল কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার যা আরও বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ৩ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
করোনার আতঙ্ক থেকে মানুষকে সঠিক দিশা দেখাতে কল সেন্টার চালু করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে করোনা সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ফোন করেছে ইতিমধ্যেই। করোনা নিয়ে প্রশ্নের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভিড় জায়গা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল প্রভৃতি তে যাওয়া এড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles

Back to top button