শ্রেয়া চ্যাটার্জি : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এর ফলে কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকবে শিল্পাঞ্চল। কালো ধোঁয়া উঠবে না কিছুদিনের জন্য। মানুষজন বাইরে যেহেতু যাচ্ছে না তাই বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা। এর ফলে অভূতপূর্ব ভাবে কমবে পরিবেশ দূষণ। করোনাভাইরাস এর একটা নেতিবাচক দিক আমাদের প্রত্যেকের উপরে প্রভাব ফেললেও ইতিবাচক দিক হলো এর ফলে কমবে পরিবেশ দূষণ।
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গেছে, করোনা ভাইরাস এর জন্য ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে অনেকের, এই খবর সত্যি দুঃখজনক। কিন্তু আমাদের কাছে এমন খবর আসেনা যে প্রতিবছর দূষণএ কত মানুষের মৃত্যু হয়। আমরা সেই খবর জানতেই পারি না। করোনাভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে এবং অল্প সময়ে তা অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তাই এটা নিয়ে গোটা বিশ্ব চিন্তিত হয়ে পড়েছে। যা সত্যিই একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসের একটি ইতিবাচক দিক এবং নেতিবাচক দিক থাকে। তাই করোনা ভাইরাস এর একটি ইতিবাচক দিক হলো এটি কমাবে পরিবেশ দূষণ। যার ফলে বেঁচে যাবে অনেক জীবন।
আরও পড়ুন : HIV-র ওষুধ ব্যবহার করে সেরে উঠেছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী
চীন জানিয়েছে যে, চীনে যে পরিমাণ দূষণ ছড়িয়ে পড়েছিল এই কদিনে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের জন্য মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হওয়ার ফলে চীনে কমে গেছে অনেকটাই পরিবেশ দূষণ। এত মৃত্যু-মিছিল এর মাঝেও, এত দুঃখের মাঝেও এটি সত্যিই এই খবরটি আশার আলো। শুধু চিন ই নয় ভারতবর্ষের সবচেয়ে দূষিত জায়গা হল দিল্লী। প্রতিবছরই দিল্লির দূষণের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দিল্লিতো কার্যত স্তব্ধ সবকিছু স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় একেবারে বন্ধ। মানুষজন কার্যত গৃহবন্দী। তাই দিল্লির রাস্তায় এখন শুনশান, গাড়ির কালো ধোঁয়া নেই।
কোন কিছু ভয়ংকরভাবে আকার ধারণ না করলে তো আমাদের টনক নড়বে না। তাই বিষয়টা হয়তো এমন ভাবে না হলেও ভালো হতো, কিন্তু করোনাভাইরাস এর আসার ফলে পরিবেশ দূষণ কমবে এবং আখেরে তাতে মানুষেরই ভালো হবে। হয়তো প্রচুর মৃত্যু, হয়তো দুঃখ, কষ্ট থাকলেও সবকিছুর মধ্যেও এই খবরটি বেশ আনন্দের খবর। যা পরিবেশের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। আমরা নিজেরা তো সচেতন হব না, তাই প্রকৃতি মা এমন একটি ঘটনা ঘটালো যার মধ্যে দিয়ে গোটা বিশ্বের দূষণ কমানো সম্ভব।