গোটা বিশ্বে করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, আবিস্কার হয়নি প্রতিষেধকও। দিন দিন বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গোটা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারন করেছে নোভেল করোনা ভাইরাস। এই মারণ ভাইরাসের উৎস স্থল চীন ছাড়িয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে গোটা বিশ্বে। তবে চীনের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইতালি, ইরান। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
এমন সংকটজনক অবস্থায় স্বস্তির খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, জাপানের গবেষকদের দাবী জাপানের ম্যালেরিয়ার ড্রাগ ক্লোরোকুইনেই কমবে করোনার প্রকোপ। তারা জানিয়েছেন, ৩৪০ বার এই ড্রাগের ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে, মেলেনি কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। খবর, প্রথমে ম্যালেরিয়ার ড্রাগের প্রয়োগ করার পর রোগীর দেহে দেওয়া হচ্ছে সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ এবং শেষে এইচআইভি ড্রাগ। এমন প্রয়োগের ফলে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সাড়া মিলেছে।
আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে পঞ্চম মৃত্যু
ড্রাগ প্রয়োগের পর দেখা যাচ্ছে, রোগী অসুস্থতা কমছে তিন দিনের মধ্যে অথবা তুলনামূলকভাবে ১১ দিনের মধ্যে স্থিতিশীল হচ্ছে শারীরিক অবস্থা। জানা গিয়েছে, এই ড্রাগের আবিষ্কর্তা জাপানের ফুজিফিল্ম টোয়ামা কেমিক্যাল। তারা এটি তৈরি করেন ২০১৪ সালে। করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে এই ড্রাগ প্রয়োগের ফলে সন্তোষজনক সাড়া মিলেছে।