রবিবার জনতার জন্য জনতা কার্ফু কিন্তু সেদিনই রাজ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের স্কুলে যেতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন রবিবার সকাল ৭ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত থাকবে জনতা কার্ফু, সেদিন সকলকে বাড়িতে থাকতে বলেছেন তিনি। কিন্তু রবিবার রাজ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বলা হয়েছে স্কুলে যেতে, চিন্তার ভাঁজ শিক্ষক মহলের একাংশের। তবে এদিন স্কুলে ডাকার পেছনে কারন হল পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়ার প্রস্তুতি। সেই ব্যাপারে আলোচনার জন্যই রবিবার শিক্ষকদের স্কুলে যেতে বলা হয়েছে।
ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির জনতা কার্ফু ভঙ্গ করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফলে বিজেপির তরফে বলা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষকদের জরুরি পরিষেবার কারনেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে তৃনমূলের তরফে। রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন স্কুল বন্ধ থাকাকালীন মিড ডে মিলের সামগ্রী পড়ুয়াদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : BREAKING : করোনা ভাইরাসে চতুর্থ আক্রান্ত কলকাতায়
২০ মার্চ ব্যারাকপুরের অফিসে প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্য নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা জেলার সব উচ্চ প্রাথমিক, উচ্চ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রবিবার খোলা রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। মিড ডে সম্পর্কিত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে রাখতে হবে রবিবারের মধ্যে, এমনটাই বলা হয়েছে।
বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে পড়ুয়াদের দেওয়া দু’কেজি চাল ও আলু তুলে দেওয়া হবে অভিভাবকদের হাতে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় বাজার থেকে শনিবার ও রবিবার ১৮ টাকা কেজি দরে আলু কিনে মিড ডে মিলের সামগ্রী বিলি করতে হবে।