মলয় দে, নদীয়া: সকলের সাথে, দিন এনে দিন খাওয়া নিম্নমধ্যবিত্তেও সরকারি নির্দেশ মেনে আপাতত গৃহবন্দী। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এখনো মেলেনি 10 টাকার মাস্ক, হ্যান্ড সানিটেশন লোশন তো অনেক দূরের কথা! ছমাসের বিনামূল্যে রেশনের খবরে আশার আলো দেখলেও হাতে পৌঁছায়নি এখনও। একমাত্র আস্ত ব্রয়লার মুরগি ছাড়া কোন কিছুই সুলভ মূল্যে মিলছে না বাজারে এমনটাই জানান ক্রেতাসাধারণ। ছোটখাটো ব্যবসা লেগেই থাকছে, বিভিন্ন বাজারে।
সরকারি ত্রাণ বন্টন এবং খোলা বাজারের মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে না। কিন্তু ফোড়েদের এ ধরনের কোনো কারসাজি না করতে পারার জন্য শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ উপস্থিত কাঁচা সবজির পাইকারি বাজারে। গোবিন্দপুর পাইকারি সবজির বাজার থেকে মূলত প্রতিটা খুচরো বাজারে পৌঁছায় সবজি। তাই প্রথমে সেখানের বিক্রেতাদের সতর্ক করেন এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য। অন্যদিকে পাইকারি ক্রেতাদের বলেন “আপনারাই খুচরো বাজারে বিক্রেতা, তাই ন্যূনতম লভ্যাংশ সাধারণ ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে হবে সবজি।”
আরও পড়ুন : লকডাউন ভাঙলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এরপর একের পর এক রেলবাজার, কাশ্যপাড়া, মাতালগড়, বড়বাজার, নতুনহাট, প্রত্যেক খুচরো বাজারে বেচাকেনা প্রত্যক্ষদর্শী হতে উপস্থিত ছিলেন। বিধায়কের চোখ এড়ায়নি তেলের মিল চালকল আলুর আড়ৎ সহ বেশ কিছু পাইকারি মুদিখানা দোকানও। শুধু আজ নয় বিধায়কের কথা অনুযায়ী প্রত্যহ এ বিষয়ে নজরদারি চালাবে তার কর্মীরা এবং পুলিশ প্রশাসন। ধরা পড়লে তা কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আজ বিকাল ৫ টার পর থেকে, লকডাউন অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়, হয়তোবা ভাবছেন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আর কিনতে পাওয়া যাবে না। সে ব্যাপারে সকলের কাছে স্পষ্ট করেন বক্তব্য। বাজার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় বিধায়কের হস্তক্ষেপে খুশি ক্রেতাসাধারণ।