ক্রমেই সুস্থ হচ্ছেন রাজ্যের প্রথম তিন করোনা আক্রান্ত, আশার আলো দেখছে রাজ্যবাসী
গোটা বিশ্ব আতঙ্কে জবুথবু, তার একমাত্র কারন নোভেল করোনা ভাইরাসের অদৃশ্যে থেকে দাপট। ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাসের কবলে। যার ফলে বিজ্ঞান মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। নোভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলার ওষুধ কবে আবিষ্কার হবে তা কারও জানা নেই। যার ফলে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। তবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের পক্ষ থেকে আশার আলো দেখা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ICMR- এর নির্দেশিকা মেনে করোনা আক্রান্ত রোগীকে দেওয়া হচ্ছে ১০ দিন ধরে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ২০০ গ্রাম, দিনে ২ বার করে এবং অ্যজিথ্রোমাইসিন প্রথম দিন ৫০০ মিলিগ্রাম। এরপর দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম দিনে রোগীকে অ্যজিথ্রোমাইসিনের পরিমাণ কমিয়ে ২৫০ মিলিগ্রাম দিনে একবার দেওয়া হচ্ছে। এতে ডাক্তারের মত অনুযায়ী, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীর দেহে কোনোরকম খারাপ উপসর্গ দেখা যায়নি। বরং তাদের প্রতিক্রিয়া মিলেছে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এমন উক্তির পর রাজ্যের বাকি হাসপাতালগুলিতেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শে করোনা আক্রান্ত রোগীকে লোপিনাভির ২০০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার এবং রিটোনাভির ৫০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার দিতে হবে। এছাড়া এর সঙ্গে দিতে হবে সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রতিষেধক ওসেলটামিভির।
বলা হয়েছে, রোগী যদি মুখ দিয়ে না খেতে পারে তাকে চ্যানেলের মাধ্যমে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এই ওষুধগুলি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া খাওয়া যাবে না। তাতে আরও অঘটন ঘটতে পারে বলে চিকিৎসকরা দাবী করেছেন। তবে এরই মাঝে আশার আলো বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে, আমলার পুত্র, হাবড়ার স্কটল্যান্ড ফেরত তরুণী এবং বালিগঞ্জের লন্ডন ফেরত যুবকের বাবা, এদের শেষ পরীক্ষায় করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কিন্তু বাড়িতে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে।