অন্যান্য রাজ্যগুলির সাথে সাথে এই রাজ্যেও ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৪। এর ফলে উদ্বিগ্ন পুরসভার মেয়র থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। তবে সংক্রমণ বাড়লেও, নতুন সংক্রমিত জায়গা বাড়েনি। নতুন আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগই সুপার হটস্পট এলাকা বেনিয়াপুকুর, পার্কসার্কাস ও জোড়াসাঁকোর। এছাড়া তিনি আরও জানান কলকাতায় মোট সংক্রমিত এলাকা ২২৭ টি।
স্বাস্থ্যভবনের দেওয়া একটি তথ্য অনুযায়ী, শহরের সংকীর্ণ এলাকাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ২২, ২৩, ৬২, ৬৪ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড গুলিতে রয়েছে বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তবাসিন্দা। শুধু তাই নয় কলকাতা শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০৫ টিতে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বেশি জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলে লকডাউন ঠিকঠাকভাবে মানা হয়নি, তাই সংক্রমণের হার এতো বেড়ে গেছে। তবে নতুন রোগীর খবর জানলেই সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে এবং তার পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।”
এছাড়া ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের নির্দেশ ও গাইডলাইন মেনে রোগীরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারে। তবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত তার উপর নজরদারি চালাবেন। এছাড়া যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন তাদের ওপরেও টানা ১৪ দিন নজরদারি চালাবেন স্বাস্থকর্মীরা।”