করোনার টিকা তৈরি করতে ভাইরাসের চরিত্র চেনালেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী
করোনা ভাইরাসের আঘাতে সারা বিশ্ব আজ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মারণ রোগ কোভিড ১৯-এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। করোনা ভাইরাসের চরিত্র বিশ্লেষণ করে প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে প্রাণপাত করে চলা সেই গবেষকদের বারবার ধোঁকা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। ছলনাময়ী নারীর মতো ১১ বার রূপ বদল করেছে এই ভাইরাস। অবশেষে দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরে করোনা ভাইরাসের চরিত্র চিনলেন বিশ্ববাসী।
কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সের বিজ্ঞানী ডঃ পার্থ মজুমদার এবং অধ্যাপক নিধান বিশ্বাসের গবেষণায় উঠে এল করোনা ভাইরাসের চরিত্র। যা কোভিড ১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন করে রসদ জোগাবে বিশ্ববিসীকে। তাঁদের দাবি, করোনা ভাইরাসের ‘A2a’ চরিত্রটি অন্য সব চরিত্রকে পিছনে ফেলে বিশ্ব জুড়ে আঘাত হেনে চলেছে। চলতি সপ্তাহে এই দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণাপত্রটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ বা আই সি এম আর কর্তৃক প্রকাশিত গবেষণা বিষয়ক পত্রিকা ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে স্বীকৃতি পেতে চলেছে বলে জানা গেছে।
গবেষক দলের অন্যতম বিজ্ঞানী ড. পার্থ মজুমদার বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মোট ১১ টি চরিত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো – ‘O’, A2, A2a, A3, B, B1…ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে করোনা ভাইরাসের A2a চরিত্রটি সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। সবচেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে ফুসফুসে আঘাত করে করোনা ভাইরাসের এই চরিত্রটি। ভাইরাসের এই চরিত্রের কারণেই বিশ্ব জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। তবে এর প্রভাবে মৃত্যুর হার তেমন বেশি নয়।’ প্রসঙ্গত, চীনের উহান প্রদেশে সংক্রমণ ছড়ানো করোনা ভাইরাসের চরিত্রটি হলো ‘O’।