রাজ্য সহ গোটা ভারতবর্ষে কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সারাদেশে লকডাউন ঘোষিত করা হয়েছে। এরমধ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ও রেশন বিতর্ক জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। একদিকে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ ও অন্যদিকে রেশনে কেলেঙ্কারি অভিযোগ তোলা হয় বিরোধী পক্ষ থেকে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বার্তার প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিল মাননীয় সাংসদ শ্রী সৌগত রায় মহাশয় এর সঙ্গে। তিনি এ ব্যাপারে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের ভারত বার্তার প্রতিনিধিকে জানান।
১) কিছুদিন আগে অমিত শাহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি লিখেছিলেন। তার বেশ কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্য সচিব কে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। অভিযোগ ছিল গোপন করা হচ্ছে তথ্য। কোথাও কি 2021 এর কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা কি ?
সৌগত রায় : হ্যাঁ পুরোটাই তাই।
২) বর্তমানে রাজ্যের অন্যতম বিতরকের বিষয় হচ্ছে এর রেশন। বেশ কিছুদিন আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন – পর্যাপ্ত সামগ্রী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র কিন্তু কালোবাজারির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এই রেশন বিতর্ককে কেন্দ্র করে মানুষকে রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্ত করার কোন প্রচেষ্টা চলছে কি বিরোধীদের তরফ থেকে ?
সৌগত রায় : চলছে। রেশন তো দেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
৩) মানে এটা এক প্রকার বিরোধীদের তরফ থেকে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ?
সৌগত রায় : একদম।
৪) ধরুন কোন মানুষ যদি রেশনের দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন বলে মনে করে সেক্ষেত্রে সে তার অভিযোগ কিভাবে জানাবে ?
সৌগত রায় : না , রেশন এ কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই। অভিযোগ যেটা অনেকে রেশন পাচ্ছেন না। যারা পাচ্ছে না তাদের রেশন কার্ড ছিল না । অনেকে রেশন কার্ডের জন্য এপ্লাই করেছে এখনো তাদের সেই অ্যাপ্লিকেশনের স্লিপ আসেনি। তা এখন সরকার মোটামুটি রেস্ট্রিকশন তুলে দিয়েছে , যাদের রেশন এ এপ্লাই করার পর কাগজ এসেছে তাদেরও রেশন দিচ্ছে আবার যাদের কাগজ আসেনি তাদেরও রেশন দিচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে পুরনো রেশন কার্ড চালু করা। সুতরাং এটা সমস্যা। দুর্নীতি কোন দোকানদার ইন্ডিভিজুয়াল করে থাকতে পারে কিন্তু সেটা বড় প্রশ্ন না। প্রশ্ন হচ্ছে আগের লোকে রেশন নিত না এখন যেহেতু সরকার বিনে পয়সায় রেশন দিচ্ছে তাই সবাই রেশন চাইছে কিন্তু কার্ড নেই বলে অনেকে পাচ্ছে না এই যা ব্যাপার।
৫) রাজ্যসহ গোটা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদি ভবিষ্যতে কোনো রকম এটি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায় সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকারের তরফে পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কাঠামো রয়েছে কি ?
সৌগত রায় : সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আরো বেশি কোভিড হাসপাতাল করছে। আরো বেশি টেস্টিং পরীক্ষা করছে। মূলত বেড এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও টেস্টিং বাড়ানো এই দুটো হচ্ছে মুখ্য বিষয়। সেগুলো সব সরকার করছে । এবার হঠাৎ করে যদি বেড়ে যায় সেটা সরকার কি করবে ?
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস