অদ্ভুতভাবে উড়ে গেল পুরীর মন্দিরের ধ্বজা, বড়সড় দুর্যোগের আশঙ্কা ভক্তদের
ফের উড়ে গেল পুরীর মন্দিরের ধ্বজা। ভক্তদের ধারণা এটি কোনও বড়োসড়ো বিপদের সংকেত। একদিকে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, অন্যদিকে জগন্নাথ মন্দিরের নীল চক্রের ওপর উড়তে থাকা “পতিতপাবন বানা” উড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন মন্দিরের পান্ডারা।
ঘটনার পর রীতিমতো হইচই পড়ে যায় মন্দির প্রাঙ্গণে। কেউ কেউ মনে করছেন ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন বড় কিছু ঘটার আগে এটি তারই সংকেত। তবে সোমবার বেশি জোরে বাতাস না বওয়া সত্বেও ধ্বজা উড়ে যাওয়ার ফলে বড়সড় দূর্যোগের আশঙ্কা করছেন সেবায়েতরা। যদিও উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সেটি লাগিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো পুরীর এই মন্দিরের মাথায় প্রতিদিনই ধ্বজা পরিবর্তন করা হয়। কথিত আছে ধ্বজা পরিবার্তন না করলে আগামী ১৮ বছরের জন্য এই মন্দির বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অদ্ভুতভাবে মন্দিরের পতাকাটি হাওয়ার বিপরীত দিকে ওড়ে। যদিও আজ পর্যন্ত এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। একজন পুরোহিত প্রতিদিন মন্দিরের চূড়ায় গিয়ে এই পতাকা লাগিয়ে দিয়ে আসেন। যদিও মন্দিরটির ৪৫ তলা উঁচুতে পতাকাটি লাগানো হয় তবে তার জন্য নাকি কোনও নিরাপত্তা প্রয়োজন হয় না পুরোহিতের। এরকম অনেক কাহিনী বর্ণিত রয়েছে এই ধ্বজা নিয়ে।