শ্রেয়া চ্যাটার্জি – নবম শতকের একটি শিবলিঙ্গ ভিয়েতনামের মাটির তলা থেকে আবিষ্কার করল ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’র প্রত্নতত্ত্ববিদরা। শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে ভিয়েতনামের ‘চাম মন্দির’ সংলগ্ন এলাকায়। এই আবিষ্কারের কথা বলতে গিয়ে এক্সটার্নাল আফেয়ারস মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, “ভিয়েতনামের সাথে ভারতীয় সভ্যতার সংযোগ ছিল, তা প্রমাণ করছে ভিয়েতনামে প্রাপ্ত শিবলিঙ্গটি।”
যে জায়গাটি থেকে এই শিবলিঙ্গটি পাওয়া গেছে সেই মন্দির চত্বরটি ইতিমধ্যেই ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’- এর একটি অংশ। এই সময় দ্বিতীয় ইন্দ্র বর্মন রাজত্ব করছিলেন। মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে একজন ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ হঠাৎ করেই এই শিবলিঙ্গটি খুঁজে পান, তবে মাটি খুঁড়ে আবিষ্কার করার এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। শিবলিঙ্গটি একটি এককেন্দ্রিক কাঠামো এবং যথেষ্ট অলংকার যুক্ত। এটি ছাড়াও আরও চারটি শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা হয় ‘মাই সান’ মন্দির চত্বরে।
ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে যে দেশ-বিদেশের সভ্যতার অনেকদিন থেকেই যোগাযোগ ছিল, তা প্রত্নতাত্ত্বিক নানা নিদর্শন থেকে মানুষের চোখের সামনে উঠে এসেছে বারবার। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যথা স্থাপত্য, ভাস্কর্য, মূর্তি, লিপি, মুদ্রা ইত্যাদি ইতিহাস জানতে বেশ বিশ্বাসযোগ্য উপাদান কারণ ইতিহাসকে জানতে যে সাহিত্যিক উপাদানকেও আমরা গ্রহণ করি, তা সবসময় বিশ্বাসযোগ্য হয়না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সাহিত্যিক উপাদান অনেক সময় নষ্টও হয়ে যায়। তাই ইতিহাস জানতে গেলে ভরসা করতেই হবে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের উপর। ‘শিব’ হল ভারতীয় উপমহাদেশে পূজিত অনেক পুরনো দেবতা। সিন্ধু সভ্যতার একটি ‘পশুপতি মূর্তি’ -কে অনেক ঐতিহাসিক ‘শিব’ বলেছেন। তাছাড়া সেই সময় প্রচুর লিঙ্গ আকারে পাথর মাটির তলা থেকে পাওয়া যায়, ধারণা করা যেতেই পারে এগুলি সবই শিবলিঙ্গ।