ভিনরাজ্য থেকে ক্রমাগত বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে ঢুকছে ট্রেন। একের পর এক ট্রেনে ভিনরাজ্য এমনকি করোনার সংক্রমণ যেই রাজ্যে সবথেকে বেশি অর্থাৎ মহারাষ্ট্র থেকেও বাংলায় আসছে ট্রেন। আর এরফলেই পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে পারে সংক্রমণের হার, এমনভাবেই কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই কমে আসছিল কিন্তু এভাবে গাদাগাদি করে রাজ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পাঠালে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ একপেশে।”
এদিকে রাজ্যে আগামী ১লা জুন থেকে খুলে যাবে সমস্ত ধর্মস্থান অর্থাৎ মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার। সকাল ১০ টায় খুলে যাবে মন্দির। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ ধর্মস্থানে প্রবেশ করতে পারবেন না। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। এই নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “গাদাগাদি করে রাজ্যে ঢুকছে ট্রেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি কেনো রেল? করোনার সংক্রমণ বেশি যে রাজ্যগুলি মহারাষ্ট্র, দিল্লি, চেন্নাই, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ সেসব রাজ্য থেকে ট্রেন আসছে। সামাজিক দূরত্বকে তোয়াক্কা করছে না রেল।”
আর এরফলেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, এমন তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে আগামী রবিবার শেষ হচ্ছে চতুর্থ দফার লক ডাউনের মেয়াদ। এরপর লক ডাউন আরও বাড়বে কিনা সে বিষয়ে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কোনোরকম ঘোষণা করেনি। কিন্তু তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বেশ কিছু নতুন ঘোষণা করলেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্র না মানলে, আমি কেন রাজ্যে সব বন্ধ রাখব?” পরিযায়ী শ্রমিক যারা ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে ফেরার পর গ্রামের স্কুলে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। এর ৭ দিন পর করোনা পরীক্ষা হবে, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে ১০ দিন পর বাড়ি পাঠানো হবে।”