শ্রেয়া চ্যাটার্জি – একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান খিদের জ্বালায় কাঁদছে, অথচ সন্তানটির মা তাকে স্তন্যপান করাতে পারছে না, এরকম পরিস্থিতিতে এক নার্স এগিয়ে এলেন। বাচ্চাটিকে স্তন্যপান করালেন। কান্নাও থেমে গেল নিমেষে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার আর. জি. কর মেডিকেল কলেজে। বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার সময় তিনি ছিলেন, আর সারারাত তিনি যখন তার ডিউটি পালন করছিলেন ঠিক সে সময় বাচ্চাটি তারস্বরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। তিনি জানান এইভাবে একটা বাচ্চার চিৎকার শোনা যথেষ্ট কষ্টকর। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াবেন।
সব সময় বাচ্চা প্রসব করার সঙ্গে সঙ্গেই স্তনে দুধ আসে না, এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তখন বাচ্চাটিকে অন্যান্য মায়েদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় দুধ খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কের জন্য কেউ এই বাচ্চাটিকে সাহায্য করতে চায়নি। কিন্তু নার্সটির পক্ষে এই বাচ্চাটির কান্না সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না। তিনি যখন বাচ্চাটিকে স্তন পান করেছিলেন তার স্বামী তাকে ফোন করেছিলেন। তিনি স্বামীকে জানান তিনি সমস্ত রকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই কাজটি করছেন।
প্রতিটি নারীর মধ্যে রয়েছে মাতৃত্বের একটি রূপ। করোনা আতঙ্কের জন্য যখন সকলে এক এক করে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াতে নাকচ করেছে, ঠিক সেই মুহুর্তে এই নার্স মানুষটি কাছে এগিয়ে এসেছে বাচ্চাদের কান্না শুনে। তিনি যখন স্তন পান করাচ্ছেন, আশা করা যায় তিনিও সদ্যই মা হয়েছেন বা কারো সন্তান খুব বেশি বড় নয়, তাই সেই মাতৃত্বের ভাবনা থেকেই আর শিশুটির কান্না সহ্য করতে পারেননি। অসাধারণ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। কোলে তুলে নিয়েছেন সদ্যোজাত শিশুটিকে।