আন্তর্জাতিকনিউজ

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশ্বের ৬ টি শহর তৎপর, পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়

Advertisement

গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত মানুষ জন। তার জন্য অনেক পর্যটনকেন্দ্র কার্যত বন্ধ। করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র ওষুধ হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তার জন্যই কয়েক মাস একেবারে বন্ধু পর্যটন কেন্দ্র গুলি। পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য গোটা বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলি উঠে পড়ে লেগেছে তাদের ভেঙে যাওয়া পর্যটনশিল্পকে পুনরায় চাঙ্গা করতে। ৬ টি শহর লকডাউন পরবর্তী সময়ে ছুটির দিন গুলিতে আপনার ভালো সময় কাটানোর জন্য টাকা নিতে শুরু করেছে।

সিসিলি : বিশ্বের অন্যতম এক সুন্দর জায়গা হল সিসিলি। সিসিলি -তে পৌঁছতে গেলে আপনাকে বিমান পরিষেবার ৫০% দিতে হবে। তাছাড়াও সিসিলি সরকার বিনামূল্যে এক রাত্রি থাকারও দারুন সুযোগ দিচ্ছে পর্যটকদের জন্য। সিসিলিতে গড়ে ওঠা মিউজিয়ামে বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাবে। করোনা ভাইরাস বীভৎসভাবে ইতালিকে আক্রমণ করেছিল। যার জন্য ইতালির সমস্ত পর্যটন শিল্প একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে আস্তে আস্তে সিসিলি একেবারে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফিরে আসছে নিজের জায়গা। বিনামূল্যে মিউজিয়াম এবং বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলিতে প্রবেশ এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ছুটির সময় কাটানোর জন্য এই জায়গা গুলি থেকে ভালো জায়গা বোধ হয় আর হয় না। তাই লকডাউন পরবর্তী সময়ে ছুটির দিন কাটানোর জন্য সিসিলিকে রাখতেই পারেন আপনার বেড়াতে যাবার তালিকায়।

মেক্সিকো : মেক্সিকো শহরের বিখ্যাত বেড়াতে যাওয়ার জায়গাটি হলো কেনকুন। এই শহরটিতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের নানান রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই অফারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘come to cancun 2*1’. বিমান পরিসেবার ক্ষেত্রেও থাকছে নানান রকমের ছাড়।

বুলগেরিয়া : বাড়িতে থাকতে থাকতে গৃহবন্দি জীবনদশা থেকে একটু মুক্তি পেতে লকডাউনে পরবর্তী গন্তব্যস্থলে আপনার হতেই পারে বুলগেরিয়া। স্বপ্নের মধ্যে কি ভাবছেন? আপনি কোন সমুদ্র তটে বসে, ফুরফুরে মেজাজে হাতে একটা ককটেল নিয়ে সমুদ্রের নোনা হাওয়া উপভোগ করছেন? তবে আপনার গন্তব্যস্থল হোক বুলগেরিয়া। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সমস্ত রকম পর্যটনশিল্প এখানে বন্ধ ছিল। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তারা তৎপর হয়েছে।

ইউ কে : ইউ কে-র অবস্থাটি একরকম। করোনা ভাইরাস এর জন্য পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে তারা একটু একটু করে পর্যটনশিল্পের দরজা খুলছেন। অর্থনৈতিক কাঠামো যাতে ধসে না পড়ে তাই প্রত্যেকটি দেশ একটু একটু করে উঠে দাঁড়াচ্ছে।

সাইপ্রাস : সমস্ত রকম সাবধানতা বজায় রেখে সাইপ্রাস পর্যটনশিল্প একটু একটু করে শুরু হয়েছে। সাইপ্রাস বিমান বন্দরে প্রতিদিন পর্যটকদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যদি কোন পর্যটক এর করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে, তাহলে তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জাপান : লকডাউন এর জন্য জাপানের অনেক পর্যটনশিল্প কার্যত বন্ধ ছিল। অন্যান্য অনেক দেশের মধ্যে জাপানের অর্থনীতিও নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের উপরেই। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে গ্রীষ্মকালে টোকিও অলিম্পিক হবে এমন কথাও টোকিও সরকার ঘোষণা করেছে।

এইভাবে বিশ্বের ৬টি জায়গায় তাদের পর্যটনশিল্পকে চাঙ্গা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই সমস্ত শহরের অর্থনৈতিক কাঠামো মূলত নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের উপরে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করতে পর্যটনশিল্পে তারা নানান রকমের ছাড় দিয়েছে। যাতে করে পর্যটকদের আগমন হয়।

Related Articles

Back to top button