অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। মধ্য প্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা ঊর্মিলা চতুর্বেদী ২৮ বছর পর তার অনশন তুলে নিলেন। বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান। সংবাদসংস্থা আইএএনএস-এ প্রকাশিত খবর অনুসারে, অযোধ্যায় বিতর্কিত কাঠামোটি ভেঙে দেওয়ার পরে ১৯৯২ সালে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন ঊর্মিলা দেবী। সেদিনের সহিংসতায় ক্ষুব্ধ জবলপুরের বাসিন্দা এই নারী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হলে তবেই তিনি খাবার গ্রহণ করবেন। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ঊর্মিলা দেবী ফল, দই এবং দুধে বেঁচে আছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় প্রার্থনা ও রামায়ণ পাঠ করতে ব্যয় করেন।
জবলপুরের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা ভগবান রামের কাছ থেকে আশীর্বাদ চেয়ে অযোধ্যা ভ্রমণ করতে এবং পুনরায় খাবার গ্রহণ শুরু করতে চান। এদিনের ভূমি পুজোর অনুষ্ঠানের পর অযোধ্যায় গিয়ে সরযু নদীতে ডুব দেওয়ার পরে অনশন ভঙ্গ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে অযোধ্যা যাবেন বলে জানা গেছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঊর্মিলা দেবীর এই ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। গত মাসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ভোপালের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই টুইট করে তিনি বলেন, ‘ভগবান রাম তাঁর ভক্তদের কখনও হতাশ করেন না। সে ত্রেতা যুগের মা শাবরী হোক বা আজকের মা উর্মিলা! মা, ধন্য আপনার শ্রদ্ধা! সমগ্র ভারতবর্ষ আপনাকে সেলাম জানায়! জয় শ্রীরাম!’