রাজ্য জুড়ে আজ এবং আগামীকাল সম্পূর্ণ লক ডাউন। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ ঠেকিয়ে রেখে পাশাপাশি স্বাভাবিক জনজীবন বজায় রাখতে সাপ্তাহিক লক ডাউনের দাওয়াই দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথম প্রথম রাস্তায় কিছু স্পেশাল বাস সরকার নামালেও সংক্রমণ মোকাবিলায় তুলে নেওয়া হয় সেগুলি। এদিকে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে লক ডাউনের দিনগুলি ভিড় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য রেল পরিষেবাও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণে কিছুটা লাগাম পরানোর জন্য রাজ্য সরকারের এই লক ডাউন পরিকল্পনাকে কঠোর ভাবে সফল করার দায়িত্ব রয়েছে পুলিশের উপর। পূর্বের লক ডাউনগুলিতে যথেষ্ট কড়া মেজাজেই দেখা গেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে।
আজ সকাল থেকে বৃষ্টিস্নাত কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় ধরা পড়ল লক ডাউনের খন্ড চিত্র। সকাল থেকেই জনমানবহীন সল্টলেক-সেক্টর ফাইভের মত ব্যস্ত এলাকা। শুনশান ধর্মতলা, পার্কসার্কাস মোড়ও। বাইপাস ও উল্টোডাঙ্গায় অবশ্য ইতস্তত দেখা যাচ্ছে গাড়ি চলাচল। তবে কলকাতা জুড়ে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চলছে কড়া নজরদারি। মেইন রাস্তা গুলোতে মাইক নিয়ে প্রচারে নামছেন পুলিশের কর্তারা। জায়গায় জায়গায় গাড়ি আটকে করা হচ্ছে নাকা চেকিং। রাস্তায় বেরোনোর কারণ সম্পর্কেও খুঁটিনাটি প্রশ্ন করছে পুলিশ।
লক ডাউন মানা নিয়ে প্রশাসনের এত সচেতনতা প্রচার সত্ত্বেও বেশ কিছু মানুষ যে এখনো সাম্প্রতিক মহামারী বিষয়ে সচেতন না তাও ধরা পড়ছে। সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনের কাছাকাছি গ্রেফতার হয়েছেন লক ডাউন না মানার কারণে। অকারণে বেরোনোয় ১৬টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অন্যদিকে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে আটক হয়েছেন ৩৮২ জন। রাস্তায় যেখানে সেখানে থুতু ফেলার অপরাধে ধরা হয়েছে ২০ জনকে।
বারে বারে প্রশাসন এবং সংবাদ মাধ্যম থেকে করোনা নিয়ে সচেতনতা ও সামাজিক দূরত্বের দাওয়াই প্রচার করা হলেও বেশ কিছু মানুষ যে এখনো মানতে নারাজ পরিস্থিতিকে, সেই ছবিই উঠে এল আজকের সকালে।