গান্ধীজি মানুষটাই আসলে দামি, নাহলে কি আর ভারতীয় মুদ্রায় তিনি স্থান নিতে পারতেন। কথায় বলে বাপু থাকলেও বুকে সাহস আসে। কিন্তু সম্প্রতি বাপুর চশমা কতো টাকায় নিলাম হয়েছে জানেন কি?চশমার দাম ২,৬০,০০০ ডলার! শুনে চক্ষু চড়ক গাছ তো? সাক্ষাৎ মহাত্মা গাঁধীর ব্যবহার করা এই সোনার পাত বসানো চশমা নিলাম হয়েছে এইটা দামেই। ব্রিটেনের নিলামে এই চশমা বিক্রি হওয়াতে তার দাম শুনে হেঁচকি তুলছেন আম ভারতীয় জনতা। কিন্তু বাপুর মূল্য যে এত সস্তা নয় তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি কারো।
কিন্তু কোথা থেকে হঠাৎ এতদিন পর উদয় হলো এই চশমা সেই নিয়েও অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন। চশমাটা নিলাম হওয়ার ঠিক সপ্তাহ চার আগে এক ভদ্রলোক পূর্ব ব্রিস্টল নিলাম কর্তৃপক্ষের লেটারবক্সে রেখে যান। একটি চিঠিতে লেখা ছিলো, তাঁর কাকাকে গাঁধীজী নিজে এই চশমাটি দিয়েছিলেন।দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামে কাজ করতেন ওই ব্যক্তির কাকা।
ঠিক ওই সময় গান্ধীজিও আফ্রিকাতেই ছিলেন,১৯২০ থেকে ১৯৩০ সাল নাগাদ গাঁধীজী চশমাটি দিয়ে দিয়েছিলেন।গান্ধীজি এতোটাই উদার মনস্ক ছিলেন যে তিনি তার বহু জিনিসের এরকমভাবে বহু মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। আর এইটা চশমাটাও ঠিক এইভাবেই ওনার কাকার হাতে আসে।
পূর্ব ব্রিস্টল নিলাম কর্তৃপক্ষ পর অবশ্য চশমা নিলাম হওয়ার পর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সবিস্তরে লেখে সম্পূর্ণ বিষয়টি । আর সেই পোস্ট থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। কিন্তু আপামর দেশের জনগন এইটা চশমার দাম শুনে আঁতকে উঠলেও কিন্তু চশমার আসলে মালিক জানলে আরও বেশি চমকে উঠতেন।