অনুসন্ধানের সপ্তম দিন চলছে সিবিআই-এর। এরই মাঝে অভিনেত্রী ও মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী একটি সর্ব ভারতীয় গণমাধ্যমে এসে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। সেখানে তিনি পরিষ্কার ভাবে মাদকের পয়েন্টটি এড়িয়ে যান। এবং পরিষ্কার ভাবে জানান যে সুশান্ত তাঁকে ৮ই জুন বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে এবং এরপর সুশান্ত কোনভাবেই যোগাযোগ করেননি। অথচ সিবিআই-এর তদন্তে উঠে এসেছে যে রিয়ার ফোনে সুশান্তের নম্বর কার্যত ব্লক ছিল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ডিআরডিও গেস্টহাউসে শৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শুধুমাত্র, শৌভিক নন, এদিন, রিয়ার বাবা তথা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকেও জেরা করে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই বিশেষ টিম। মাদক দ্রব্য আদান প্রদানের সঙ্গে কীরকম সংযোগ ছিল শৌভিকের তার ব্যপারেই চলেছে মূল জেরা। এমনকি রিয়া মাদক সেবন করতেন কিনা সেই ব্যপারেও তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
এর আগেও ইডির মুখোমুখি হয়েছেন এই দুই ভাইবোন। তবে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় তদন্তকারী দল ফের মুখোমুখি হয়েছেন এই দুই অভিযুক্ত ভাইবোনের সঙ্গে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় রিয়াকে কোন কোন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তা নিয়ে চলছে বিপুল জল্পনা। চলুন দেখে নিই, রিয়াকে কী কী প্রশ্ন করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই টিম-
৮ই জুন কি হয়েছিল?
কেন রিয়া ল্যাপটপ নিয়ে চলে যায়?
হার্ড ডিস্ক কেন ড্যামেজ করা হয়?
সুশান্তকে কোন কোন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হত?
সুশান্ত কোন ধরনের মাদক নিতেন?
সুশান্ত মাদক কোথা থেকে আনতেন?
এছাড়াও, রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রসঙ্গে যেই কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়েও উঠতে পারে একের পর এক প্রশ্ন।
চলবে দীর্ঘক্ষণ জেরা। সারা দেশবাসী তাকিয়ে আছে আজকের এই জেরার উপর। আদৌ কি রিয়া সিবিআই-এর জালে ধরা পরবে নাকি সুশান্ত কেস ধামাচাপা পরে যাবে।আজকের টানটান পর্বের সমস্ত আপডেট পেতে সঙ্গে থাকুন।