আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তার স্বর্ণালি দিনের ইতিহাস আমাদের প্রতি পদক্ষেপে মনে করাবে তার নাম। প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে যেন এক অনন্য পরিচিতি। ১৯৬৯ সালে রাজনীতির ময়দানে তার প্রথম পদার্পণ।
রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি অর্থ, বিদেশ, প্রতিরক্ষা, পরিবহন, যোগাযোগ, রাজস্ব, জাহাজ-চলাচল, এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন বহুবার। প্রথম বার কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিস্বরূপ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরেই ১৯৬৯ সালে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সালে পরপর তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথম ক্যাবিনেটে যোগদান করেন। এমনকি ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথেও তার সুসম্পর্কের ইতিহাস সবার জানা। তবে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর পরই তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে খানিক সরে আসেন। পরে অবশ্য রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে পি. ভি. নরসিমা রাওয়ের সময়কালে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ পরে ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি রাওয়ের মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
নিজের জীবনের এই অসামান্য কাজের জন্য তিনি বহুবার পুরস্কৃতও হয়েছেন। পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয় তাঁকে৷ ১৯৮৪ সালে ইউরোমানি পত্রিকার সমীক্ষায় তাঁকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী বলা হয়েছিল। ২০১০ সালে বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের দৈনিক সংবাদপত্র এমার্জিং মার্কেটস তাকে ‘ফাইনান্স মিনিস্টার অফ দ্য ইয়ার ফর এশিয়া’ পুরস্কার দেওয়া হয়।