১৪ জুন ব্যান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত, এরপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কুপার হাসপাতালে। পোস্টমর্টেমও চলে, কিন্তু সিবিআই-এর কোন সুরাহা হয়নি ওই রিপোর্টে। এরপরেই সুশান্তের মনে ময়না তদন্ত শুরু করে সিবিআই-এর টিম। এই তদন্ত চলাকালীন উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। রিয়াকে ঘিরে পাওয়া যায় বিশেষ মাদকচক্রের যোগ। উঠে আসে একের পর এক নাম। বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে নাম উঠে আসে রিয়া চক্রবর্তীর। ফাঁস হয় বিভিন্ন হোয়াটস্যাপ চ্যাট।
এরইমধ্যে রিয়াকে পাঁচবার জেরা করেছে সিবিআই। কিন্তু বেশীরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই রিয়া বলেছে ‘জানি না’, ‘মনে নেই’। অবশ্য রিয়াকেও সুযোগ দিয়েছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করানোর জন্য। রিয়ার পাশাপাশি সৌভিক, নীরজ, স্যামুয়েল, সন্দীপ ও সুশান্তের দুই দিদিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এবারে তলব হল রিয়ার বাবা-মা। সিবিআই ইতিমধ্যে রিয়া চক্রবর্তীর বাবা-মাকে সমন পাঠায়।
মঙ্গলবার রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু সিবিআই মঙ্গলবার তা ক্যানসেল করে দেয়। পরে রিয়া ও তাঁর ভাইকে আবার ডাকবে সিবিআই। তবে কবে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রসঙ্গত, ডার্কনেটের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর যোগ রয়েছে এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (ক্রিমিনাল কেস) দায়ের করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সুশান্ত মামলার তদন্ত যত এগিয়েছে সামনে এসেছে বহু নিষিদ্ধ মাদকের নাম – এমডিএমএ, সিবিডি, মারিজুয়ানা। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সের ২০,২২,২৭ এবং ২৯-এর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।