নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা যখন এক লক্ষ ছুঁই ছুঁই, তখন ব্রিটেনের পর ভারতেও করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল স্থগিত করা হল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুপ্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনে দিকে গোটা বিশ্বের মতো ভারতও তাকিয়ে বসেছিল। কিন্তু ব্রিটেনে প্রথম দুটি পর্বে ট্রায়াল সফল হলেও তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হলে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শরীরে জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। এরপরেই ব্রিটেনের পক্ষ থেকে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত করা হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভ্যাকসিন ব্রিটেন অ্যাস্ট্রোজেনিকা সংস্থার মাধ্যমে ট্রায়াল’ চালাচ্ছিল। এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এই ভ্যাকসিন ভারতে পুনের শ্রীরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ট্রায়াল’ চালানো হচ্ছিল। যার নাম ভারতে দেওয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। কিন্তু ব্রিটেনের পর এবার ভারতেও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত করা হল।
ভারতে যখন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এক লক্ষ পার করার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং মৃত্যুর প্রায় ৭৫ হাজার পার, এমন সময় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ওপর স্থগিতাদেশ কার্যত বিশ্ব চিকিৎসা ব্যবস্থাকে একটা বড়সড় ধাক্কা দিল, তা বলাই যায়। এই স্থগিতাদেশের ফলে চলতি বছরের শেষে বাজারে ভ্যাকসিন আশা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
যদিও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত করা হলেও আইসিএমআর-এর হাত ধরে ভারত নিজে যে দুটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে, তার দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল’ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল হওয়ার পরেই বাজারে আসতে পারে ভারতের নিজস্ব এই দুটি ভ্যাকসিন।
তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন কবে বাজারে আসবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কারণ এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ না অন্যকিছু তা আগে খতিয়ে দেখা হবে। তাতে যদি দেখা যায় যে এই ভ্যাকসিনের কারণে তিনি অসুস্থ হননি, তাহলে পুনরায় ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে কবে সেটা হবে, এখন সেটাই দেখার।