মঙ্গলের পর এবার শুক্র। পৃথিবীর সব থেকে কাছের গ্রহতে প্রাণ আছে। এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুক্রে মিলেছে ফসফিন গ্যাস। আর এটাই প্রমাণ করছে যে এই গ্রহে প্রাণ রয়েছে। সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এতদিন বলা হয়েছিল দিনের বেলায় শুক্রের তাপমাত্রা এতটাই থাকে যে, কোনও প্রাণ ধারণের সম্ভাবনা সেখানে থাকার কথাই নয়। কিন্তু সম্প্রতি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এবং চিলির অ্যাটাকামা মরুভূমি থেকে শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে শুক্রের দিকে চোখ রাখা হয়েছিল। খতিয়ে দেখা হয় শুক্রের আপার ক্লউড ডেক। সেখানেই দেখা যায়, শুক্রে মজুত রয়েছে ফসফিন। এই দাহ্য গ্যাস পৃথিবীতে জৈব জীবনের অনুকুল পরিস্থিতি তৈরি করে। তবে শুক্রের চারদিকে পুঞ্জীভূত হওয়া মেঘে অ্যাসিডের উপস্থিতি থাকায় তা ফসফিনকে ধ্বংস করতে থাকে, ফলে প্রাণ আছেই এমনটাও দাবি করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন প্রাণ থাকলেও থাকতে পারে।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আরও জোরালো গবেষণা শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, শুধু ফসফিন থাকলেই প্রাণ আছে এমনটা বলা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি অন্যান্য পদার্থগুলিকে একইরকমভাবে থাকতে হবে। আর সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন বিশ্বের সমস্ত বিজ্ঞানীরা। তবে এই মুহূর্তে প্রাণ থাকলেও থাকতে পারে শুক্রে, এই দাবি যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর বলেও মনে করা হচ্ছে।