১৪ ই জুন সেই দিন যেদিন সুশান্তের নিথর শরীর পাওয়া যায় তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে বলিউডের এই তরুন অভিনেতা অকালেই চলে যায়। এরপর এই মৃত্যু নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়। আত্মহত্যা নাকি খুন এই নিয়েই তদন্ত ঘুরপাক খায়। শেষে এই তদন্তের ভার সিবিআই এর হাতে এসে পৌঁছায়। সেই সময় সুশান্তের শরীরের ময়না তদন্তের রিপোর্টে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো যে অভিনেতা গলায় ফাঁস দিয়েই আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না এবং শরীরে কোনরকম বিষক্রিয়াও ঘটেনি।
এরপরেই, এই তদন্ত মোড় নেয় চাঞ্চল্যকর পয়েন্টে। এই কেসে এড হয় মাদকযোগ ও টাকা নয়ছয়ের যোগ। ফলত এই কেস ট্র্যান্সফার হয় এনসিবি ও ইডি-র হাতে। এরপরের কাহিনী হয়তো সকলেরই জানা। কিন্তু মুম্বাইয়ের জেজে হাসপাতালের করা ভিসেরা রিপোর্ট কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে সুশান্তের শরীরের মাত্র ২০ শতাংশ নিয়েই নতুন করে ভিসেরা রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
এইমস এর দ্বায়িত্বে এই ভিসরা রিপোর্ট করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে যে আগামী শুক্রবার সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে। সেদিনই জানা যাবে আদপে সুশান্তের সঙ্গে সেদিন ঠিক কী হয়েছিলো? সুশান্ত কি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকে চক্রান্ত করে মাদক দিয়ে খুন করা হয়েছে। সেদিন ঠিক কি হয়েছিলো তা পরিস্কার হবে ওই ভিসেরা রিপোর্টের মধ্যে দিয়েই।