কঙ্গনার সাধের অফিস ‘মণিকর্ণিকা’যার প্রায় ৪০ শতাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিএমসি ও মুম্বাই পুলিশ সহযোগে এই অফিস ভাঙ্গার প্রস্তুতি নেয় মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে। অফিস ভাঙ্গাকালীন অবস্থায় কঙ্গনা ছিলেন মানালিতে। এই খবর শোনার পর প্রায় রাতারাতি ছুটে আসেন মুম্বাইতে অভিনেত্রী। কোর্টে আবেদন করলে বিএমসি তাঁদের কাজ স্থগিত রাখে। এরপরেই কঙ্গনা দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গে ও তীব্র ভাষার উদ্ধব ঠাকরে ও মুম্বাই পুলিশের নিন্দা করেন।
এবারে সঠিক সময়ে দাবার গুটির চাল দিলেন কঙ্গনা।বোম্বে পুরসভার কাছে অর্থাৎ বিএমসি-র ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর অফিসের ৪০ শতাংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এমনকি বহু আসবাবপত্র নষ্ট করা হয়েছে। তাঁর অফিস বেআইনিভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, এই দাবিতেই কঙ্গনা ২ কোটি টাকা দাবি করেন বিএমসি-র কাছ থেকে।
এই ব্যপারে কঙ্গনা জানান, গোটা ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত। মহারাষ্ট্র সরকার ইচ্ছা করেই এই জঘন্য কাছে বিএমসি-কে প্রশ্রয় দিয়েছে। কঙ্গনার কথায়, শিবসেনার মুখপাত্র মুম্বাই পুলিশের কাছে ক্ষমা চাইতে বললে, অভিনেত্রী তা মানেননি, এমনকি বলিউডের ড্রাগের ব্যবহার নিয়ে তিনি নিজে সর্বপ্রথম মুখ খোলেন, এরজন্যেই শাস্তি স্বরূপ মণিকর্ণিকা ফিল্মস-অফিস ভাঙ্গন। যদিও অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি কোন ভাবেই নিজের মাথা নত করবেন না। এমনকি শিবসেনার মুখপাত্রকে সরাসরি জানান, “শিবসেনার গুন্ডারা যাতে আমার মুখ ভেঙে দেয়, ধর্ষণ করে বা প্রকাশ্যে গণপিটুনি দেয়, সেটা করতে দেওয়া। তাই না সঞ্জয়জী? একজন মহিলা যে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার সাহস হয় কী করে ওদের?”
শিবসেনা ও কঙ্গনার সংঘাত প্রতিদিন নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কঙ্গনা রানাউত চুপ করে বসে নেই। সুদূর মানালিত থেকেও বোম্বে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে বিএমসি-র থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেছেন অভিনেত্রী।