দেশনিউজ

ফের চিনা নজরদারির খপ্পরে ভারত, অভিযুক্ত ওই চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে ভারত

Advertisement

ভারতঃ শুধুই লাদাখ সীমান্ত নয়, কাটা পেরিয়ে সেই নজর চলে এসেছে প্রত্যেকের অন্দরমহলে। কিছু দিন ধরেই শোনা গিয়েছিলো, একটি চিনা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির উপর গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে। এই নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এবার সেই চিনা সাইবার নজরদারির অভিযোগের প্রসঙ্গে সাফাই দিল কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কংগ্রেস সাংসদ বেণুগোপালকে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, একমাসের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানা যাবে। অভিযুক্ত ওই চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে ১০ হাজারের বেশি হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের টানা ২৪ ঘন্টা নজরে রাখছেন চিন সরকার এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টিরা৷

এই নজরদারির জন্য শেনজেনের প্রযুক্তি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে চিন সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধি এবং তাঁর পরিবার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মতো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েলের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রতন টাটা, প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদে, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতিরা প্রায় প্রত্যেকেই রয়েছে এই তালিকায়।

আর এসবের মাঝে জানা গিয়েছে চিনা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাটি ভারতের প্রশাসন, রাজনীতি, বাণিজ্য, গণমাধ্যম এরকম বেশ কিছু ক্ষেত্রের বেশ কয়েক হাজার হুজ হু র ওপর বহুদিন ধরেই এই নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তারা নজরদারি চালাচ্ছে বলে বারবার অভিযোগও উঠছে।  ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে চিনের দায় ও দায়িত্ব সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তারা যুক্তি দিয়েছেন ওই সংস্থাটি যেহেতু বেসরকারি সেহেতু চিন সরকারের এখানে কোন কিছুই বলার নেই।

Related Articles

Back to top button