ভারতঃ জুন মাসেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে যাওয়ার পর ফের সেপ্টেম্বরে বিবাদ করতে বসেছে নেপাল। ভারতের উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ এই তিনটি ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে নয়া মানচিত্র তৈরি করেছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। সেই মানচিত্রকেও সমর্থন করে নেপালের সংসদের উচ্চকক্ষ। কিন্তু নয়াদিল্লিও তার কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
তার পরেও শান্তি নেই এবার উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে বসেছে নেপাল। বার বার ভারতের একাধিক জায়গায় নেপালের এই হতক্ষেপ মেনে নিতে পারছে না ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ৮ মে লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার নয়া ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার উদ্বোধনও করেন। কিন্তু এসবের পরেই নতুন চাপানুতোর শুরু হয় ভারত আর নেপালের মধ্যে।
ভারত এবং নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল অনেক দিন আগে থেকেই। ভারতের বিরুদ্ধে নবীন প্রজন্মকে উসকানিও দেওয়ার জন্য নেপাল প্রচারের অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া বেঁছে নিয়েছে। ফেসবুক, ট্যুইটার ও ইউটিউব চ্যানেলে লাগাতার বক্তব্যর মাধ্যমে চলছে লাগাতার প্রচার। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি ইউনিফায়েড নেপাল ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গ্রেটার নেপাল প্রচার শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির আগে নেপালের ম্যাপকেই অস্ত্র করে এই প্রচার চালানো হচ্ছে। ওই মানচিত্রে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকী সিকিমের বড় বড় শহরকেও নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল।