কলকাতা: পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিউ নর্ম্যাল দিয়ে সকলে এখন দৈনন্দিন জীবনের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। এমন সময় মা দুর্গার আগমন করোনাকে নির্মূল করবে, এই প্রার্থনাই সকল বাঙালির মনে এখন চলছে। তবে যেভাবে রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো কীভাবে পালন করা সম্ভব? বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয় আপামর বাঙালি। এবারে একইরকমভাবে সেই আনন্দ বজায় রাখা কি সম্ভব? রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সেই চেষ্টাই আপাতত করা হচ্ছে। আর তাই আজ, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সেইসব থানার অন্তর্ভুক্ত পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যেন থানার পুলিশ আধিকারিকরা কথা বলেন। এমনকি পুজো কমিটিগুলিকে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করা হবে তার একটা খসড়া জমা দিতে বলা হয়েছে। এমনকি গত জুলাই মাসে ১৭টি পয়েন্টকে সামনে রেখে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছিল কলকাতার ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। আজ এইসব নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন শহরের বিখ্যাত পুজো কমিটিগুলির কর্মকর্তারা।
এই বৈঠকও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করা হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তাই প্রত্যেকটি পুজো কমিটি থেকে এক বার দুজন করে আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখেই থাকবে স্যানিটাইজেশন, থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই খোলা মণ্ডপে পুজো করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই প্রত্যেকটি পুজো কমিটি খোলা মণ্ডপ তৈরি করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে। এমনকি কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েও একটা প্রাথমিক আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজকের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কী বক্তব্য রাখেন, সেটাই এখন দেখার। এমনকি তার বক্তব্য এবারের পুজোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।