চিনাদের জবরদখল কাঠমান্ডুতে চিনা দূতাবাসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ নেপাল জনতার
নেপালঃ নেপালে চিনের অবৈধ ইমারত বানানো নিয়ে এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও চিনের বিরুদ্ধে সরব হলেন নেপালের সাধারণ মানুষ। চিন নেপালের কোনও জমি দখল করার কথা উড়িয়ে দিলেও নেপালে চিনা দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে ভারতের মিডিয়া গোটা বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা করছে। এমনকি নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জমি দখলের বিষয়টি তদন্ত করতে একটি টিম পাঠিয়েছে হুমলায়। কিন্তু কনোমতেই থামানো যায়নি নেপালিদের উত্তেজনা। তারা কোনভাবেই মেনে নেয়নি চিনাদের এই জবরদখলের ভাবনা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অবৈধভাবে নেপালের মাটিতে ওইসব বাড়ি বানিয়েছে চিন। শুধু তাই নয়, এলাকায় নেপালিদের ঢুকতেও দিচ্ছে না। ওইসব বাড়ি সরকারের অনুমতি ছাড়াই বানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুমলায় পাহাড়ের কোলে ৯-১১টি বাড়ি বানিয়ে ফেলেছে চিনা সেনা।
এই নিয়ে গতকালই কাঠমাণ্ডু শহরের রাস্তায় চিন বিরোধী প্রচারে নামেন নেপালের জনগন। প্রসঙ্গত, নেপালের হুমলা এলাকায় লোকবসতিও তুলনামূলক কম। দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয় না বলে ওই এলাকায় সরকারি কর্তাদের তেমন যাওয়া আসাও নেই। আর তার ফাকেই কিছু দিন সেখানে আস্তানা গেড়ে বসে চিন। জানা গিয়েছে, নেপালের হুমলায় নটি ইমারত বানিয়ে ফেলেছে চিনা সেনা।
অনেক দিন আগে থেকেই চিন এই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। দিন কয়েক আগে নেপালের কয়েকজন সরকারি আধিকারিক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ফেরার পর তারা জানান আরও আটটি ইমারত নেপালের ভূখণ্ডে তৈরি করেছে চিনারা। আর এই কেলেঙ্কারি ঘটনার পর বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রীকে কে পি সিং ওলি।