কলকাতা: পুজো আসতে আর এক মাসও বাকি নেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তাই জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে রাজ্যবাসী। মাস্ক, স্যানিটাইজারকে সঙ্গী করে দৈনন্দিন জীবনে পা রেখেছে সকলে। করোনা ভুলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে ভাসাতে প্রস্তুত কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার মানুষজন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো হলেও জেলার মানুষ যেভাবে প্রত্যেকবার কলকাতার প্রতিমা দর্শন করতে আসে, তা কি এবারও সম্ভব হবে? কী করে সম্ভব হবে? কারণ, নিউ নর্ম্যাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা সকলে গেলেও এখনও পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। তাহলে কি এবার প্রতিমা দর্শন হবে না? হলেও হতে পারে। কারণ, দুর্গাপুজোকে মাথায় রেখে হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে দশটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ট্রেন চালানোর ভাবনা ভাবছে পূর্ব রেল।
অক্টোবর মূলত পুজোর মাস। এই সময়ে যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে বিপুল পরিমণে আয় হয় রেলের। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির কারণে রেল পরিষেবা থেকে তেমন কিছুই আয় সম্ভব হয়নি। তাই সবদিক বিচার- বিবেচনা করে হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে দশটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ট্রেন চালাতে চায় পূর্ব রেল। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ওই রেলের প্রিন্সিপাল চিফ অপেরেশন ম্যানেজারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এতে যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি ওই ট্রেনগুলি চালালে প্রচুর পরিমাণে টাকা আসবে রেলের কাছে, এমনটাও এই চিঠিতে বলা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গগামী দার্জিলিং মেল, শরাইঘাট এক্সপ্রেস চালানোর কথা ভাবছে পূর্ব রেল। কারণ, পুজোর সময় এই দুটি ট্রেনের চাহিদা অত্যন্ত বেশি থাকে। অন্যদিকে দিল্লিগামী হিমগিরি এক্সপ্রেস সপ্তাহে তিনদিন চালানো যেতে পারে বলেও ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। এছাড়া শিয়ালদা-অমৃতসার এক্সপ্রেস, ফারাক্কা থেকে দিল্লিগামী ট্রেন, শিয়ালদা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস, উত্তর বিহারের দিকে যাতায়াতকারী ট্রেন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস, মিথিলা এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, যোগবানী এক্সপ্রেস সহ আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে রেল।
এইসব ট্রেনগুলির চাহিদা উৎসব মরশুমে প্রায় দ্বিগুণ থাকে। তাই এই ট্রেন চালালে যাত্রীদের যেমন সুবিধা হবে, তেমন রেলের অর্থ আসার পথ সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবটাই এখন ভাবনার মধ্যে রয়েছে। কোনও কিছু এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তাই দুর্গাপূজোর সময় ট্রেন চলবেই, এ কথা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয়, এখন সেটাই দেখার।