নয়াদিল্লি: গতকাল রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে বক্তব্য রাখার কথা ছিলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন মোদি প্রশ্ন তোলেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে? তিনি বলেন, ভারতবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই অধিকার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে৷
এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতার মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই সংস্কার প্রক্রিয়া আদৌ যুক্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে কি না, তা ভেবেই ভারতের মানুষ উদ্বিগ্ন৷ আর কতদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাঠামোর বাইরে থাকতে হবে ভারতকে?” এদিন তিনি আরো বলেন, “ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং সরবরাহের ক্ষমতা গোটা মানব সভ্যতাকে এই সঙ্কট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করবে৷
অতিমারির এই কঠিন সময়ে ভারতের ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলি বিশ্বের ১৫০টি দেশে জরুরি ওষুধ সরবরাহ করেছে৷” জানা গিয়েছিলো রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে সেনা সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনের নীতিগুলি চূড়ান্ত করার বিষয়ে সওয়াল করবে। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন এর পাশাপাশি করোনা অতিমারীতে গোটা বিশ্বে ভারতীয় ফার্মেসির ভূমিকা নিয়েও বক্তব্য রাখার কথাও ছিলো।
এমনকি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে একসঙ্গে এগিয়ে আসা নিয়েও মোদির কথা বলার কথা ছিলো। অন্যদিকে গত কাল রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম সাধারণ সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিবৃতির কড়া জবাব দিয়েছে ভারত৷ প্রথম থেকেই পাকিস্তানের নানা বিবৃতি মেনে নিতে নারাজ ছিলো ভারত। এদিন কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করে ভারত জানায় সন্ত্রাসবাদ, সংখ্যাগুরু মৌলবাদ, আদিবাসীদের সাফ, গোপন পরমাণুর ব্যবসা এসব কিছুই গত ৭০ বছরে পাকিস্তানের গৌরব৷