উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার গোটা দেশ। আর এরই মধ্যে নির্যাতিতা তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গলায় ফাঁসের দাগ, শ্বাসরোধ করে খুন এই দুটি পয়েন্ট কার্যত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে। কিন্তু চিকিৎসকরা কোথাও উল্লেখ করেননি যে, মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছিল। এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর কার্যত বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মধ্যে।
দীর্ঘ 14 দিন লড়াই করে জীবনযুদ্ধে হেরে গিয়েছে ওই তরুণী। পুলিশি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই দলিত ছাত্রীকে। এমনকি তার জিভেও অনেক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। হাত-পা অসাড় হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে বয়ানে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেছিল ওই তরুণী। কিন্তু তারপরেও কেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ হল না? এমন প্রশ্ন এই মুহূর্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর পেছনে কি কোনও প্ররোচনামূলক হাত রয়েছে? এই প্রশ্নও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলিত ছাত্রী মাঠে কাজ করার সময় তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করা হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কিন্তু কোথাও ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। এমনকি যৌনাঙ্গে কোনও ক্ষতের কথাও উল্লেখ হয়নি তদন্তের রিপোর্টে। যদিও FSL-এর রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।
তবে সেই রিপোর্টেও কি ধর্ষণের কথা উল্লেখ থাকবে? যদি কেউ প্রোরচনা দিয়ে থাকে, তাহলে সেই রিপোর্টও তো বিকৃত করা হতে পারে, এমনটাই বলছে নেটিজেনরা। ময়নাতদন্টের রিপোর্ট আসার পর সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে উঠেছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।