গত শনিবারই উদ্বোধন হয়েছে অটল টানেল। এদিন এই টানেল উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টানেল চালু হওয়ার ফলে হিমাচল প্রদেশের সাধারন মানুষের অনেক সুবিধা হবে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, ভারতীয় সেনার মুখ্যসচিব বিপিন রাওয়াত, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সহ আরও অনেকে, এমনকি সুবিধা পাবেন মিলিটারিরাও।
সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে ভারত। কিন্তু এবার এই টানেল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে এই অটল টানেল দীর্ঘ ৯.২ কিলোমিটার লম্বা, যা মানালি থেকে লেহ লাদাখ পর্যন্ত যাতায়াতের পথ আরও সুগম করে তুলবে। এমনকি মানালি থেকে লাদাখ যেতে এতদিন যা সময় লাগতো, তার থেকে এই টানেলের মাধ্যমে যাতায়াত করলে সময় অনেকটাই কম লাগবে।
এর মাঝেই চিন তাদের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে লিখেছে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের সময় তারা অটল টানেল উড়িয়ে দেবে। এছাড়াও জানানো হয়েছে এই টানেল ধ্বংস করার একাধিক রাস্তা খোলা রয়েছে চিনা সেনার সামনে। ইতিমধ্যে চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মোট ৭৩টি রাস্তায় কাজ হবে।
এবার শীতের সময়ও সেই সব রাস্তা নির্মানের কজ বন্ধ রাখবে না ভারত। সব মিলিয়ে আবারও চিন আর ভারতের সম্পর্ক এক ধাপ খারাপের দিকে এগালো। কিন্তু কেনই বা চিনের এতে ক্ষোভ জন্মালো তা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। কারন এর আগেও এরকম অনেক কারণেই চিনকে ভারতের একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।