কলকাতা: গুজরাটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গড়বা। বলা হয়েছে এক ঘণ্টার মধ্যে সারতে হবে পুজো। আর বাকি উৎসব পালন করতে হবে বাড়িতেই। দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ার কারণে গুজরাট সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব হচ্ছে। প্রত্যেকটা কমিটিগুলোকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হলেও সম্ভাবনা রয়েছে তাতে করণা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য চিকিৎসা মহল। এর আভাস কিছুটা ইতিমধ্যে পাওয়া গিয়েছে শপিং মলগুলিতে। প্রথম দিকে খুব একটা ভিড় চোখে না পড়লেও পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই থিক থেকে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেট এবং জুতোর শোরুমগুলিতে। শপিং মলে ক্রেতার ভিড় দেখলে আঁতকে উঠতে হবে। এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শহরেরই এক নামি জুতোর দোকানে অগুনতি মানুষের ভিড়। এই অবস্থা দেখে রাজ্যের এক চিকিৎসকদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানাল। তাঁদের স্পষ্ট মত, খামখেয়ালিপনা ডাকবে ভয়াল করোনা সংক্রমণ। কেরলে ওনাম, গুজরাটের গররার কথা স্মরণ করানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৩১ জন। এর মধ্যেই রাজ্যে উৎসবের ঢল নামতে চলেছে। একে একে আসবে দীপাবলি, ছটপুজো, ক্রিসমাস। এসব ক্ষেত্রে লাগামছাড়া ভিড়ে যে সর্বনাশ হতে পারে, সে বিষয়ে রাজ্যকে আরও সতর্ক হতে বলেছে ডক্টরস ফোরাম।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কীভাবে পুজো সারা যায়, তাই নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো উদ্যোক্তাদের একটি গাইডলাইন বেঁধেও দিয়েছেন মমতা। রাজ্যের বহু বিগ বাজেটের পুজোই নমো নমো করে নিয়মরক্ষা করছে। মাস্ক, স্যানেটাইজারকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে মানতেই হবে সামাজিক দূরত্ববিধি।
কিন্তু চিকিৎসকদের কথায় আরও বেশি সতর্ক হতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। কারণ, সামান্য ভুলচুক হলেই চরম বিপদ নেমে আসতে পারে। এর জন্য উদাহরণ হিসেবে স্পেনে কীভাবে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে রাজ্যের চিকিৎসা মহল। এখন ডক্টরস ফোরামের এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেটাই দেখার।