নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের হাথরস কান্ড নিয়ে কার্যত তোলপাড় গোটা দেশ। যদিও নির্যাতিতা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন উল্লেখ পাওয়া যায়নি কোনও রিপোর্টে, তবুও এটিকে একটি ধর্ষণকান্ড বলেই এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রিপোর্টে ধর্ষণের উল্লেখ নেই। তার পেছনে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে, এমনটাই মনে করছে বিরোধী শিবির। তবে সে যাই হোক এই হাথরস কান্ডের ঘটনার মধ্যেই এক নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে নির্যাতিতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দির গুরুত্ব দিতে হবে পুলিশকে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীকে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে।
আজ, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দেওয়া হয়নি বলে কোনও মৃত্যুকালীন নির্যাতিতার জবানবন্দিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। যোগি রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ কান্ডের ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা দেশ, ঠিক তখনই দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই নির্দেশিকার পাশাপাশি এদিন আরও বলা হয়েছে যে, কোনও নির্দিষ্ট থানা এলাকার বা বাইরের কোনও মহিলা নির্যাতন বা শ্লীলতাহানীর পর অভিযোগ করতে এলে তৎক্ষণাৎ এফআইআর বা জিরো এফআইআর নিতে হবে পুলিশকে। এই এফআইআর নেওয়া পুলিশের কাছে বাধ্যতামূলক বলেই এদিন বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশ আগামী দিনে নির্যাতিতা মহিলাদের সুবিচার দেবে বলেই আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার।