বিকাশ ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য বাম নেতাদের আজ উত্তরপ্রদেশের হাথরসে যাওয়ার কথা, অন্যদিকে আজই সকালে নির্যাতিতার পরিবারকে আদালতের কাজের জন্য লখনউ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। ফলত বামেদের এই অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়। এই ঘটনায় বামেদের মত তাদের বাধা দেওয়ার জন্যই এসব করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আজ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ওই পরিবারের ওপরে উচ্চবর্ণের লোকের চাপ দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে চাইছে। এইখানে আগের থেকেই পরিকল্পনা করে সব করা হয়েছে। দেখা করা বন্ধ করার জন্যই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়, বিজেপি ও আরএসএস মনে করে উচ্চবর্ণের মানুষজনের নিম্নবর্ণের মেয়েদের ভোগ করার অধিকার রয়েছে।
কিছু দিন আগেই নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হযতে হয়েছিলো রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। এছাড়াও হাথরসের পথে গিয়েছে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা। এরপরে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিরোধি দলের নেতা।
যোগী আদিত্যনাথ সরকার হাথরসের ঘটনায় সিবিআই দিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে৷ হাথরস নিয়ে প্রতিদিনই উঠে আসছে নানা তথ্য, এবার চার অভিযুক্ত ধর্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে। তাঁদের মতে ধর্ষণ নয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ১৯ বছরের ওই দলিত তরুণী। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।
অন্যদিকে এই বিষয় মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিএমও। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়। অন্য দিকে পরিবার বলছে গণধর্ষণ করে খুন হয়েছে ওই তরুণীর।