টলিউডবিনোদন

হঠাৎ ছন্দপতন রানাঘাটের লতা কন্ঠীর! লাইমলাইট থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল রানু মণ্ডল

Advertisement

গত বছর এই সময় পুজো শেষের পথে ছিল। কিন্তু প্রায় সমস্ত প্যান্ডেলে বেজেছিল রানাঘাটের রাণু মন্ডলের গান। হ্যাঁ, গত বছর সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে তাঁর গাওয়া গান ‘তেরি মেরি কাহানি’ বাজতে শোনা যায়। করোনা আবহয়ের সময় থেকেই এই উত্তেজনা কমে যায়। হারিয়ে যান রাণু। তবে সত্যি কি এর জন্য করোনা দ্বায়ী? নাকি অন্যকিছু? রানাঘাট স্টেশনে ভবঘুরে এই দরিদ্র মহিলার হঠাৎই ছন্দপতন হওয়ার কারণ কী? একসময়, লতার গান গেয়ে রীতিমত তারকার সম্মান পেয়েছেন রাণু, সেই রাণু আজ লাইম লাইট থেকে অনেক দূরে।

অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় রাণু রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায়। এরপর এক হত দরিদ্র মহিলা গিয়ে পৌঁছায় মুম্বাইয়ে। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে গান গেয়ে বিখ্যাত হয়ে যান। কিন্তু রাণুর ছন্দপতন রাণুকে আবার সেই দারিদ্রতায় ঠেলে দিয়েছে। হাতে কাজ না থাকায় ফের পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে হয়েছে রানুকে। আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন লতা কণ্ঠী রাণু।

কিন্তু এতটা অধঃপতনের কারণ কী? শোনা যায় যে, রাণুর অহংকার রাণুকে নিচে নামিয়ে এনেছে। একটি শপিং মলে রাণুর সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে রাণু আপত্তি জানান এবং বলেন যে তিনি এখন একজন সেলিব্রিটি। রাণুর ফ্যানের প্রতি খারাপ ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হন হিমেশও। শোনা যায়, তিনি রানুর এক ঘনিষ্ঠের মাধ্যমে বলেন, ‘ একজন ফ্যানের সঙ্গে এমন আচরণ করা মোটেই ঠিক কাজ হয়নি, রাণুর ‘সরি’ বলা উচিত।’ তবে কি রাণুর ব্যবহার রাণুর কাল হল?

আজও মাঝেমধ্যেই নিজের মনে গেয়ে ওঠেন, ‘জিন্দেগি অর কুছ ভি নেহি, তেরি মেরি কাহানি হ্যায়।’

Related Articles

Back to top button