ফের পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ। এবারের স্থান গোন্ডার পসকা গ্রাম। সুত্রের খবর অজ্ঞাতপরিচয় যুবক রাতের অন্ধকারে একই বাড়ির তিন বোনের উপর অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছে। এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক ওই তিন বোনের বড় বোন খুশবুকে টার্গেট করে অ্যাসিড ছুড়তে যায়। কিন্তু খুশবুর সাথে তার আর দুই বোনেরও শরীরের একাধিক অংশ ঝলসে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুশবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং বাকি দুজনেরও অবস্থাও গুরুতর।
পুলিশ সূত্রের খবর ওই তিন বোন তথাকথিত দলিত সম্প্রদায়ের। কিন্তু কারা একাজ করেছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পাড়া-প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই নিয়ে এখন এমনিতেই সারা উত্তরপ্রদেশ তোলপাড়।
ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম।
এই ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হয়েছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দফায় দফায় সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে। সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানকে হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকি নির্যাতিতার গ্রামে সংবাদমাধ্যমকেও কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো।