কলকাতা: পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে বহুতল থেকে ঝাঁপ। কিন্তু এই ঝাঁপের ফলে যে পালানোটা শেষমেষ হবে না, সেটা সে বুঝতে পারেনি। পুলিশের হাত থেকে সাময়িকভাবে পালাতে সক্ষম হলেও দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে হল তাকে। বহুতল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চিতপুর থানার পুলিশ।
তবে তদন্তে নেমে অনেক অজানা তথ্য সামনে এল পুলিশের। জানা গিয়েছে, যে বহুতলের ফ্ল্যাট থেকে ওই যুবক পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঝাঁপ দিয়েছে, সেই ফ্ল্যাটটি মালদার এক তৃণমূল নেত্রীর। শনিবার গভীর রাতে ওই ফ্ল্যাটের অন্দর থেকে ব্যাপক গোলমালের শব্দ শুনতে পায় আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা। সবকিছু ঠিকঠাক নেই বুঝে পুলিশকে খবর দেয় আবাসনের সেক্রেটারি। জানা যায়, ওই ফ্ল্যাটের ভিতরে তিনজন ছিল এবং তারা মারামারি করে নিজেরাই নিজেদের রক্তাক্ত করেছিল।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ওই তিনজনের মধ্যে একজন ফ্ল্যাট থেকে নিচে ঝাঁপ দেয় পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য। আর তার ফলে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবকের নাম আব্দুল হোসেন। সে হুগলি একজন দাগি আসামী। এমনকি চাপদানি, কামারহাটিতে তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ওই যুবক ছাড়া আর যে দুজন ছিল তাদের মধ্যে একজন ছিল ফ্ল্যাটের রাঁধুনি এবং একজন ড্রাইভার। শনিবার দুপুরে ওই ফ্ল্যাটে দুজন তরুণীকে নিয়ে আসা হয় বলেও জানা গিয়েছে। আর তারপরই শুরু হয় তিনজনের মধ্যে গোলমাল। ভেতর থেকে ভাঙা মদের গ্লাস উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওই তৃণমূল নেত্রীর ফ্ল্যাটে এই তিনজন কী করছিল? এর সঙ্গে মালদার ওই তৃণমূল নেত্রীর যোগসাজশ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।