চলে গেলেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ও প্রযোজক স্যার শন কনারি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 90 বছর। হলিউডে শনের পরিচয় ছিল ‘জেমস বন্ড’ হিসাবে। ‘জেমস বন্ড’-এর চরিত্র শন কনারিকে প্রভূত জনপ্রিয়তা এনে দেয়। মহিলাদের কাছে শন জনপ্রিয় হন তাঁর সেক্স অ্যাপিলের জন্য। শনের সময়কালের হলিউড অভিনেত্রীরা ‘বন্ড গার্ল’ হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতেন। ‘জেমস বন্ড ‘ শনের সঙ্গে ‘বন্ড গার্ল ‘-এর চরিত্রে অভিনয় করা তাঁদের কাছে বিশেষ প্রাপ্তি ছিল। ‘বন্ড’ সিরিজের প্রথম সাতটি ছবিতে ‘জেমস বন্ড’-এর চরিত্রে অভিনয় করেন শন। এই সাতটি ফিল্মের নাম, ‘ডঃ নো’, ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’, ‘গোল্ডফিঙ্গার’, ‘থান্ডারবল’, ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’, ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’, ‘নেভার সে নেভার এগেইন’। এই সাতটি ফিল্ম ব্যাপক বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করেছিল।
‘জেমস বন্ড’ সিরিজের ফিল্মগুলি ছাড়াও শন বহু হলিউড ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিল্ম হলো ‘দি আনটাচেবল’। এই ফিল্মে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন শন। 1988 সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে অ্যাকাডেমী পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
শন কনারির ফিল্ম কেরিয়ারের মত তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বর্ণময়। একের পর এক নারী এসেছে তাঁর জীবনে। 1962 সালে তিনি অস্ট্রেলিয় অভিনেত্রী ডায়ানে সিলেন্তোকে বিয়ে করেন। কিন্তু 1970 সালে মরক্কোয় একটি গল্ফ ক্লাবে গিয়ে মিশেলিন নামে এক বিবাহিত মহিলার প্রেমে পড়ে যান শন। মিশেলিন এর আগে দুইবার বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্তানদের নিয়ে মিশেলিন একাই থাকতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শনের সঙ্গে আলাপ হবার পর তাঁর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মিশেলিন। ফলে ডায়ানের সাথে শনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শন বিয়ে করেন মিশেলিনকে। জীবনের শেষ দিন অবধি শন বলে গিয়েছেন, মিশেলিন তাঁর জীবনের প্রকৃত ও একমাত্র ভালোবাসা। শনের মৃত্যুতে হলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।