ইতিমধ্যেই ভারত থেকে চলে গিয়েছে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব। কিন্তু, তারপরেও বিভিন্ন রাজ্যের আবহাওয়ার পরিস্থিতি প্রায় একইরকম রয়েছে। এদিন আবারো ভারতের আবহাওয়া দপ্তর একটি বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, আজ এবং আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার ভ্রুকুটিও।
সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। এবং তার জেরেই রবিবার দুপুরের দিকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। মৌসম দপ্তরের বক্তব্য, বঙ্গোপসাগরের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব খাড়িতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল। সঙ্গে রয়েছে আঁধির সম্ভাবনা। এই কারণে মৎস্যজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা সমুদ্রে না যান।
তবে আরেক চিত্র ভারতের অন্য প্রান্তে। উত্তর ভারতের বেশকিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ও ঠান্ডার প্রভাব শুরু হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরে তাপমাত্রা ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। যার ফলপ্রসূ, উত্তর থেকে ঠান্ডা হাওয়া সরাসরি দেশে প্রবেশ করা শুরু করেছে। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, দীপাবলির পর থেকেই দেশে শীত পড়তে শুরু করবে।
উত্তরপ্রদেশেও ঠান্ডার প্রভাব শুরু হচ্ছে। নভেম্বর থেকে আবহাওয়ায় বদল আসবে উত্তর প্রদেশের। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সময়ে উত্তরপ্রদেশের তাপমাত্রা থাকতে চলেছে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অর্থাৎ সারা দেশেই, নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে শীতের আমেজ।